বগটুইকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যুতে(Custodial death) এ বার তদন্তে সিআইডি। মঙ্গলবার সকালে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছয় চার সদস্যের সিআইডির দল। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে এই মামলাটি দেখছে সিআইডি।মঙ্গলবার রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেল সিআইডি(CID)।
সোমবার বিকেলে রামপুরহাটের অস্থায়ী সিবিআই ক্যাম্পের শৌচাগারে লাল রঙের গামছা গলায় জড়ানো অবস্থায় লালনের ঝুলন্ত দেহ(Lalan Sheikh) উদ্ধার হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, লালন ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। পুলিশ যদিও লালনের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে। সোমবার রাতে রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবিরে যান জেলার পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের ডিআইজির অফিস থেকে আজ (সোমবার) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিট নাগাদ আমাকে টেলিফোনে জানানো হয় যে, সিবিআই হেফাজতে থাকা লালন শেখের জেরা চলছিল। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
সিবিআইয়ের(CBI) শাস্তির দাবিতে রামপুরহাটের অস্থায়ী ক্যাম্পের বিরুদ্ধে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। এদিকে রামপুরহাট থানায় সিবিআই কর্তাদের বিরুদ্ধে FIR করল লালনের পরিবার। দায়ের হয়েছে খুনের অভিযোগ( Bogtui Custodial death)।
বগটুই গ্রামের পূর্বপাড়ার বাসিন্দা সারুল শেখের কথায়, আমি হৃদরোগে আক্রান্ত। বগটুই কাণ্ডের পর গ্রামে অশান্তি হয়েছিল। এবার ফের বড় অশান্তির আশঙ্কার করছি। তিনি আরও জানান, সেদিন দেখলাম লালন স্বাভাবিকভাবে হেঁটেই গ্রামে এল। কিন্তু ইশারায়, আকার-ইঙ্গিতে ও বলছিল, সিবিআই ওর উপর মারাত্মক অত্যাচার করছে। যা দেখেশুনে আমার ভয় লাগছে। একই ধরনের কথা শোনা গিয়েছে গ্রামের আরেক বাসিন্দা হাসিনা বিবির গলাতেও। তিনি জানিয়েছেন, গত ২৭ থেকে ২৯ তারিখ গ্রামে এসেছে সিবিআই। ওঁর ছেলে আকাশ শেখকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। তাঁর দাবি, “লালনের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু সেই রাতে তো আকাশ গ্রামেই ছিল না। সিবিআই তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে আতঙ্কে ও আর গ্রামে ফেরেনি( Bogtui Custodial death)।”