অনুব্রত মণ্ডলের নামে CBI চার্জশিটে নাম রয়েছে বীরভূমের তৃণমূল সাংসদের (Satabdi Roy)। সূত্রে মারফৎ এমনই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) গোরু পাচার মামলায় অন্যতম সাক্ষী হিসাবেই বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়ের নাম রয়েছে। এছাড়া বোলপুরের ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সহ অনুব্রত-ঘনিষ্ঠ শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের অন্যতম অধিকর্তা মলয় পীঠের নামও রয়েছে CBI-এর চার্জশিটে।গত শুক্রবার আসানসোল আদালতে অনুব্রতের নামে ৩৫ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে যে ৯৫ জনের নাম রয়েছে, তার মধ্যে ৪৬ নম্বরে রয়েছে শতাব্দীর নাম। ১৬০ নং ধারায় শতাব্দীকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ১৬১ নং ধারায় তৃণমূল সাংসদের বয়ান রেকর্ড করা হয়। তার পরই চার্জশিটে সাক্ষী হিসাবে শতাব্দীর নাম রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর বিভিন্ন সময় এঁদের বয়ান রেকর্ড করেছিলেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সেই বয়ানের ভিত্তিতেই সাক্ষী হিসাবে তাঁদের নাম চার্জশিটে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার, কর্মী সহ মলয় পীঠ থেকে তৃণমূল সাংসদেরও বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি।
শতাব্দীর সঙ্গে অনুব্রতের ‘অম্লমধুর’ সম্পর্কের কথা সর্বজনবিদিত। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শতাব্দীর তৃণমূল ত্যাগের জল্পনা ছড়িয়েছিল। কারণ হিসাবে তখন তৃণমূলের একাংশের ব্যাখ্যায় নাম ছিল অনুব্রতের। তবে কেষ্টর গ্রেফতারির পর তাঁর পাশেই দাঁড়ান বীরভূমের সাংসদ। খয়রাশোলে তৃণমূলের এক সভায় শতাব্দী বলেছিলেন, ‘‘আমাদের অনুব্রত মণ্ডলের পাশে থাকতে হবে, বোঝাতে হবে আমরা অকৃতজ্ঞ নই। আপনারা যখন অনুব্রত মণ্ডলকে পাশে পেয়েছেন, সহযোগিতা পেয়েছেন, তখন আপনাদেরও তাঁর পাশে থাকতে হবে।’’
CBI-এর চার্জশিটে তৃণমূল সাংসদ, মলয় পীঠ সহ অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের যেমন নাম রয়েছে, তেমনই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal) বিপুল সম্পত্তির উল্লেখ করা হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের ১৮ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের পাশাপাশি ৫৩টি দলিলের উল্লেখ রয়েছে এই চার্জশিটে। যার মধ্যে বাড়ি, জমি সহ রাইস মিলের দলিল রয়েছে বলে সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে।আদালতের নির্দেশে বর্তমানে আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) । আগামী ২৯ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। এরই মাঝে শুক্রবার চার্জশিট জমা দিল CBI।