Congress’s soft face Subhankar Sarkar replaces Adhir Ranjan Chowdhury

Adhir Ranjan Chowdhury: অধীর জামানার অবসান, নয়া প্রদেশ সভাপতি শুভঙ্কর সরকার

অধীর জামানার অবসান। নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসাবে মনোনীত হলেন শুভঙ্কর সরকার। সর্বভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শনিবার কে সি বেনুগোপাল স্বাক্ষর করা এক প্রেস বিবৃতির মাধ্যমে এই পরিবর্তনের কথা জানানো হয়েছে। জারি করা বিবৃতিতে অবিলম্বে এই পরিবর্তন কার্যকরী করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি দল বিদায়ী সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে তাঁর অবদানের জন্য প্রশংসা করেছে।

শুভঙ্কর সরকার ২০২৪ সাল থেকে ৩০ অগাস্ট থেকে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন৷ একইসঙ্গে মেঘালয় প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি ও মিজোরাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির স্টেট ইন চার্জের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের বর্তমান পরিস্থিতি খুব একটা ভাল নয়। নেতারা সব দল ছেড়ে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি কতটা এই পদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন, কতটা সংগঠনকে মজবুত করতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। তবে, শুভঙ্কর দীর্ঘদিন ধরে কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। ছাত্র অবস্থা থেকে তিনি রাজনীতি করছেন।

কংগ্রেসের দলীয় সংবিধান অনুযায়ী, নতুন সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরেই প্রদেশ কংগ্রেসগুলিতে সভাপতি পদে রদবদল অনিবার্য হয়ে পড়ে। মল্লিকার্জুন খড়্গে সভাপতি হওয়ার পরে কংগ্রেসের প্রদেশ কমিটিগুলিতে সভাপতি পদে যে বদল হবে তা রাজনৈতিক মহলের অজানা ছিল না। বাংলার শেষ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে ছিলেন অধীর চৌধুরী। লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার অব্যবহিত পরেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি ‘অস্থায়ী সভাপতি’র দায়িত্ব পালন করছেন।

বহরমপুর লোকসভায় পাঁচ বারের সাংসদ এবং সপ্তদশ লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রাজনীতিতে নবাগত ইউসুফ পাঠানোর কাছে এবার পরাস্ত হন।লোকসভা নির্বাচনী ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে তাকেই পুনর্বহাল করা হবে, নাকি অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে তা নিয়ে দোলাচল ছিলই। শেষ পর্যন্ত অধীরকে সরিয়েই দিল দিল্লি। এরপর অধীরের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। প্রবল তৃণমূল বিরোধী এককালের বহরমপুরের রবিনহুডের ভবিতব্য রাজনৈতিক সন্ন্যাস- উঠছে সে প্রশ্নও।