Cyclone Ashani may hit , there is a possibility of rain again in Bengal today

চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি, তারই মাঝে আজ বঙ্গে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা

শনিবার কলকাতা–সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। এদিকে আবার চোখরাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়! রবিবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘‌অশনি’‌ তৈরি হতে পারে। শ্রীলঙ্কার দেওয়া এই নাম। বাংলায় তার প্রভাবে সোমবার থেকে উপকূলীয় জেলাগুলোতে বৃষ্টি শুরু। মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে(Cyclone ‘Asani’ Update)।

আলিপুর হাওয়া অফিস বলছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। নিম্নচাপটি উত্তর–পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে। শনিবার এটি আরও ঘনীভূত হবে। রবিবার সন্ধেয় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। মঙ্গলবার এটি উত্তর অন্ধ্র–ওড়িশা উপকূলের কাছে পশ্চিম–মধ্য বঙ্গোপসাগরে পৌঁছবে।

আগামী মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার অবধি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ–সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১০ মে থেকে সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগরে তাপমাত্রার খুব রদবদল হচ্ছে। ফলে শেষ পর্যন্ত ল্যান্ডফল নাও হতে পারে পারে। সমুদ্রের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় শক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে ।

শনিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও আগামী পাঁচ দিনে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে তাপমাত্রার খুব একটা হেরফের হবে না। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদায় বজ্রবিদ্যুৎ–সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার কলকাতায় আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

IMD-র ডিরেক্টর জেনারেল মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন,”ল্যান্ডফল নিয়ে এখনও পূর্বাভাস নেই। কোন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা এখনই স্পষ্ট নয়। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। সাধারণত দুটি সময়ে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়। একটা প্রাক বর্ষার সময়, অর্থাৎ, মার্চ-এপ্রিল-মে। আরেকটা বর্ষার পর, অর্থাৎ অক্টোবর-নভেম্বর-ডিসেম্বর। বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় হয় মে মাসে ও নভেম্বরের মধ্যে। মে মাসে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”