শক্তি বাড়িয়ে উপকূলের দিকে আরও এগোল ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। এই মুহূর্তে সে রয়েছে সাগরদ্বীপ থেকে মাত্র ৩১০ কিলোমিটার দূরে। এই পরিস্থিতিতে আলিপুর আবহাওয়া দফতর থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন আঞ্চলিক অধিকর্তা তথা আবহবিদ সোমনাথ দত্ত। জানালেন, ‘দানা’র দাপটে ভেঙে পড়তে পারে গাছ এবং শুকনো ডাল। রয়েছে কুঁড়েঘর, টালির চাল প্রভৃতি উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। দমকা হাওয়ায় ক্ষতি হতে পারে কলা, পেঁপের মতো গাছের। বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। কাঁচা ও পাকা দু’ধরনের রাস্তাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে। ভারী বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়তে পারে শহরের অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা।
শনিবার পর্যন্ত কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি-সহ ৯ জেলার সব স্কুল বন্ধ। ক্লাস হবে না কলেজেও।পারাদ্বীপ থেকে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র দূরত্ব ২১০ কিমি। ধামারা থেকে ‘দানা’র দূরত্ব ২৪০ কিমি। সাগরদ্বীপ থেকে ৩১০ কিমি দূরে অবস্থান করছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’
সোমনাথ আরও জানালেন, পারাদ্বীপ থেকে প্রতি মুহূর্তে নজর রাখা হচ্ছে ‘দানা’-র গতিবিধির উপর। আবহাওয়া দফতরের তরফে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতেই ‘দানা’র প্রভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু জেলায় জারি হয়েছে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা।