নবমীর রাতে বঙ্গোপসাগরের বুকে তৈরি হওয়া গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দশমীর সকাল পর্যন্ত তা পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের আরও কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। মৌসম ভবন থেকে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, দিঘা থেকে মাত্র ২৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’।
ওড়িশার পারাদ্বীপ থেকে ২১০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, গভীর নিম্নচাপটি প্রতি ঘণ্টায় ১৮ কিলোমিটার গতিবেগে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে থেকে উত্তর-উত্তরপূর্বে সরতে সরতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এ পরিণত হয়েছে।
আরব সাগর এবং ভারত সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে একই সঙ্গে তৈরি হচ্ছে দুটি বিপজ্জনক ঘূর্ণিঝড়। আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’ প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’। তবে এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।তবে ২০১৮ সালেও একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দেশের আবহাওয়ায়। সেই বছর ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম উভয় দিকে একযোগে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল। আইএমডি জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় হামুনও সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইতিমধ্যে।
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি সোমবারের মধ্যে আরও তীব্র হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর পর আগামী তিন দিনের মধ্যে এটি বাংলাদেশ ও নিকটবর্তী পশ্চিমবঙ্গ উপকূল এবং উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
স্কাইমেটের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, হামুন ২৪ অক্টোবরের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার বড় লক্ষণ রয়েছে। রবিবার রাতে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হওয়ার পর এই সিস্টেম বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এটি ওড়িশার পারাদ্বীপের প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পশ্চিমবঙ্গের দীঘার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে কেন্দ্রীভূত।
আইএমডির বুলেটিনে জানা যাচ্ছে, ‘আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এটি গভীর নিম্নচাপ হিসেবে ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খেপুপাড়া ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করার খুব সম্ভাবনা রয়েছে।’