সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নগুলির ডাকা ১০ মার্চের ধর্মঘট ব্যর্থ করতে কোমর বাঁধছে নবান্ন। সরকারি সূত্রের খবর, ধর্মঘটের দিন সরকারি কর্মীদের অফিসে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হবে। ওই দিন বিনা কারণে কেউ ছুটি নিলে তাঁর চাকরিজীবনে ছেদের নির্দেশিকাও জারি হবে। সঠিক কারণ দেখাতে না পারলে কড়া শাস্তির মুখেও পড়তে পারেন সরকারি কর্মচারীরা।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডাকা ধর্মঘটের দিন যাতে স্বাস্থ্য পরিষেবা স্বাভাবিক থাকে, সেজন্য আগেভাগেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরিবহণ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক রাখার জোর দেওয়া হচ্ছে। সেজন্য প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপের পথেও হাঁটা হতে পারে বলে প্রশাসনিক সূত্রে খবর। তবে এখনও সরকারিভাবে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।
পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কোনওরকম ধর্মঘট বরদাস্ত করবে না রাজ্য সরকার। বাম আমলে ধর্মঘট সংস্কৃতির চল ছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে ধর্মঘটের কোনও জায়গা নেই। যাবতীয় পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে হবে। বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আর্থিক বঞ্চনা করছে।
মূলত তিনটি দাবি সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মচারী ইউনিয়ন এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এর মধ্যে প্রধান দাবিটিই হলো বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানো। এ ছাড়াও সরকারি কর্মী নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় রাখা এবং বিভাজনের রাজনীতি ছেড়ে সুষ্ঠু ভাবে প্রশাসন চালানোর দাবিও রয়েছে।
প্রথম দিকে ভিন্ন অবস্থান নিলেও ১০ মার্চের ধর্মঘটে সামিল হচ্ছে বঙ্গীয় শিক্ষা ও শিক্ষক-কর্মচারী সমিতিও। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চর পক্ষে তাপস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার যে নির্দেশিকাই জারি করুক না কেন, ধর্মঘট হচ্ছেই। রাজ্য সরকারের কোনও হুঁশিয়ারির কাছেই তাঁরা মাথা নত করবেন না বলে জানিয়েছেন।
তৃণমূল-ঘেঁষা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তীর বক্তব্য, “নীতিগত ভাবে আমরা ধর্মঘটের বিরোধী। সরকারি কর্মচারীদের দাবিদাওয়া আদায়ের জন্যে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া দরকার। সরকারেরও কর্মীদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনায় বসা উচিত বলে আমি মনে করি।”