বিয়ে মানে মারাত্মক ঝক্কি। আজকের যুগে মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যান বাবা-মা। কিন্তু, এবার মাত্র ৫০০ টাকাতেই দুয়ারে বিয়ে! এবার মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবার সন্তানের বিয়ে দিতে পারবেন মাত্র ৫০০ টাকাতেই। সৌজন্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
রাজ্যের উদ্যোগে এবার ৫০০ টাকাতেই বিয়ে সারতে পারবেন যুগলরা। দুয়ারেই মিলতে চলেছে এই পরিষেবা। প্রতিটি জেলায় চার পাঁচটি থানা এলাকার জন্য রয়েছে একটি করে সাব রেজিস্ট্রি অফিস। এই অফিসগুলিতে মূলত জমি বাড়ির রেজিস্ট্রেশন হত এতদিন। বিয়ের রেজিস্ট্রির জন্য যেতে হত জেলা সদরে। তবে এবার বিয়ের রেজিস্ট্রেশনও হবে এই সাব রেজিস্ট্রি অফিসগুলি থেকেই। ফলে বিয়ে করতে আর কাউকে বাড়ি থেকে দূরে জেলা সদরে ছুটতে হবে না। সেই ব্যবস্থাই করতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এই ব্যবস্থায় রাজ্যের বাসিন্দা যে কোনও প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছরের বেশি পাত্রী ও ২১ বছরের বেশি পাত্র গেলেই ফর্ম পূরণ করে বিয়ে করে নিতে পারবে।
নবান্নের দাবি, সাব-রেজিস্ট্রাররাও হলেন ম্যারেজ রেজিস্ট্রার। ফলে এঁরাও করতে পারেন বিয়ের নিবন্ধীকরণ। জেলার রেজিস্ট্রি অফিসে বা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে বিয়ের নিবন্ধীকরণে খরচ হয় মাত্র ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ১০০ টাকা লাগে নোটিস খরচ বাবদ এবং বাকি ৪০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন খরচ।
তবে, যদি কেউ চান সাব-রেজিস্ট্রার বাড়িতে বা বিবাহস্থলে গিয়ে তাঁদের বিয়ের নিবন্ধীকরণ করুন, তাহলে দিতে হয় অতিরিক্ত ৪০০ টাকা। আবার, দারিদ্র্যসীমার নীচে থাকা মানুষের জন্য একেবারে অর্ধেক হয়ে যায় এই খরচ। সম্পূর্ণ টাকাটাই জমা পড়ে রাজ্যের কোষাগারে। অথচ, অন্যান্য মাধ্যমে বিয়ের নিবন্ধীকরণ করতে সরকারি ফিয়ের পাশপাশি গুনতে হয় অতিরিক্ত বেশ কয়েক হাজার টাকা।
রাজ্যে ২০১৯ সালের ১ জুন থেকে বিয়ের নিবন্ধীকরণের আবেদন করতে হচ্ছে অনলাইনে। এবার অনলাইনে আবেদন করে বাড়ির অদূরে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে পৌঁছলেই সম্পূর্ণ হবে চার হাত এক হওয়ার আইনি প্রক্রিয়া। সব থেকে বড় কথা সমপ্রেম বা সমলিঙ্গের বিয়েতে সুপ্রিম কোর্ট ছাড়পত্র দিলেই বাংলার এই সব সাব-রেজিস্ট্রি অফিসেও কিন্তু বিয়ে সেরে ফেলতে পারবেন দুই পুরুষ বা দুই নারী।