শীতের সন্ধেয় আচমকা কেঁপে উঠল উত্তরবঙ্গ। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হল বৃহস্পতিবার সন্ধেয়। জানা গিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ভুটানের থিম্পুতে। তারই প্রভাব পড়েছে এ রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৩। এ দিন আচমকা কম্পনে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন উত্তরবঙ্গের বাসিন্দারা। অনেকেই ছুটে বেরিয়ে পড়েন রাস্তায়।
ভারতের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা ১৬ মিনিট ১১ সেকেন্ডে ভুটানের থিম্পুর দক্ষিণ-পশ্চিমে ৬৮ কিলোমিটারের দূরে ভূমিকম্প হয়। ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.২।
ভারতের মেঘালয়ের তুরার উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে ১৮৮ কিলোমিটার, অসমের গুয়াহাটির পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে ২৬৪ কিলোমিটার, অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াঙের পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিমে ২৬৯ কিলোমিটার, মেঘালয়ের নোংপোহের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে ২৮৫ কিলোমিটার এবং মেঘালয়ের শিলঙের পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিমে ৩০৬ কিলোমিটার দূরে আছে সেই উৎসস্থল।
বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ঠিক ৮ টা ১৬ মিনিটে এই কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪.৩। ভুটানের রাজধানী শহর থিম্পুই এই কম্পনের উৎসস্থল বলে জানা গিয়েছে। উৎসস্থলের গভীরতা ৬ কিলোমিটার।বৃহস্পতিবার রাতে গোটা উত্তরবঙ্গের সঙ্গে জলপাইগুড়িতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্প টের পেয়ে আতঙ্কে ঘরছেড়ে বেরিয়ে আসেন মানুষজন।
আচমকাই ভূমিকম্প অনুভূত হয় ডুয়ার্সেও। আলিপুরদুয়ার জেলাতেও অনুভূত হয় ভূমিকম্প। আতঙ্কে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন শহরবাসী, আতঙ্কে কোথাও উলু আবার কোথাও শঙ্খধ্বনি দিতে দেখা যায় মহিলাদের।স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, তিনি বাড়িতে বসেছিলেন, আচমকাই কেঁপে ওঠে গোটা বাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে ভয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। প্রতিবেশীরাও ততক্ষণে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছেন। ছোট থেকে বড় প্রত্যেকেই রীতিমতো আতঙ্কিত