এগরা বিস্ফোরণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ভানু বাগের মৃত্যু। মঙ্গলবার বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর আহত অবস্থায় বাইকে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিল ভানু। ওড়িশার কটকের একটি হাসাপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় ভানু বাগের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক ছিল। বিস্ফোরণের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিনি নিজে। মুখ, হাত, পা পুড়ে যায় তাঁর।ছেলে এবং ভাইপো তাঁকে কটক পর্যন্ত পৌঁছে দেন।
কটকের হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। জানা গিয়েছে যে গতকালই খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় সিআইডি-র দল। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়ার চেষ্টা করেন সিআইডি আধিকারিকেরা। তবে ৮০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া শরীরে মৃত্যুকালীন সম্পূর্ণ জবানবন্দি দিতে পারেননি ভানু। তবে চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে কিছুটা জবানবন্দি রেকর্ড করা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে৷
ভানুর ছেলে পৃত্থীজিৎ বাগকে কটক সদর থানায় নিয়ে এসে নথি তৈরি করে রাজ্যে ফেরত নিয়ে যায় সিআইডি। হাসপাতাল থেকেই সন্ধেয় থানায় নিয়ে আসে। আধঘণ্টার মধ্যেই রওনা দেয়। আজ আদালতে তোলা হবে ভানুর ছেলেকে।
মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল।এগরা বিস্ফোরণের পর সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তে নেমে ভানু ও তাঁর পরিবারের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা রুজু করে সিআইডি। এর আগেও ভানু বাগের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুন, বিস্ফোরকের অবহেলামূলক আচরণ সহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু হলেও বিস্ফোরক আইনে প্রথমবার মামলা হয়। ভানুর মৃত্যুর পর সিআইডি তদন্ত এখন কোন দিকে যায় সেদিকেও নজর থাকবে সকলের।