এগরার বিস্ফোরণ নিয়ে আদালত-এর দ্বারস্থ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের বিধায়কের দাবি ছিল, ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হোক এনআইএকে। বুধবার জরুরি ভিত্তিতে শুনানির আবেদন জানানো হয়েছিল। বিরোধী দলনেতার আইনজীবীর বক্তব্য, ইতিমধ্যেই ১২-১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।মামলা দায়ের করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামীকাল শুনানির সম্ভাবনা।
এদিন এগরার বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শনে গিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সরাসরি নিশানা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীকে। বীরভূমের বগটুই গ্রামের ঘটনার উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “রাজ্য জ্বলছে। এগরার ঘটনা নিন্দনীয়। আড়াই লক্ষ টাকা কখনই মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ হতে পারে না। আমাদের দাবি, রাজ্য সরকারকে মৃত পরিবার পিছু দশ লক্ষ টাকা করে দিতে হবে।” এগরার ঘটনায় সরাসরি রাজ্যের শাসক দলকে দায়ী করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এও বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলকে বোমা সরবরাহ করার জন্যই এই কারখানা তৈরি হয়েছিল।”
শুভেন্দুর নিশানায় ছিলেন এগরা থানার ওসি এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতা ভানু বাগও। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা। আগামী দিনে ‘পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ’ এবং ‘এনআইএ তদন্তের দাবি’ নিয়ে এগরায় ২৫,০০০ মানুষের গণমিছিলেরও ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বলেন, ‘ওরা এনআইএ চাক না, আমাদের কোনও আপত্তি নেই। তবে প্রকৃত অপরাধী যেন ধরা পড়ে।’ তবে তারপরই তিনি ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘এই গ্রাম পঞ্চায়েতে দুমাস আগে নির্দলকে প্রেসিডেন্ট করে বিজেপি পঞ্চায়েত তৈরি করে। তাদের তো তথ্য় রাখা উচিত ছিল, তাদের এলাকায় কেন আবার নতুন করে ঘটনা ঘটছে।’