Finally, Anarul was caught in Tarapith holding a mobile phone

অবশেষে মোবাইলের সূত্র ধরে তারাপীঠে ধৃত আনারুল

রামপুরহাট-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেনকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেওয়ার ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই তৃণমূলের ওই নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আনারুলের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। মমতা নির্দেশ দেওয়ার পরই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। পরে তাঁকে তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে বলেছিলেন, যেখান থেকে সম্ভব তুলে এনে গ্রেফতার করতে হবে আনারুলকে। সেই মতো পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গেলেও পাওয়া যায়নি আনারুলকে। গেটে তালা লাগানো ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর আনারুল হোসেন কোথায় গা ঢাকা দিয়েছেন সেই খোঁজ শুরু হয়। পরে তারাপীঠ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।

মমতা ডিজিকে বলেছিলেন, ‘আনারুল আমাদের ব্লক প্রেসিডেন্ট। তাঁর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল ওরা। কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই আনারুলকে গ্রেফতার করা হবে।’ কেন সময় মতো পুলিশ পাঠাননি আনারুল, সেই প্রশ্নও তোলেন মমতা। তিনি মনে করেন, সময় মতো পুলিশ পাঠালে হয়ত এই ঘটনা ঘটত না।

তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেন। নৃশংস এই ‘হত্যাকান্ডে’ বৃহস্পতিবার থেকে বারবার তাঁর নাম উঠে এসেছে। স্থানীয়রা বলেছেন, আগুন লাগান হয়েছে তাঁর নির্দেশেই। তবে এই অভিযোগ শোনার পরও বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি তিনি। সাফ জানান, ওই সময় এলাকাতেই ছিলেন না তিনি ।

মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিতেই বৃহস্পতিবার দুপুরে আনারুলের বাড়িতে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। সেখানে মহিলা ও শিশুদের নীচের তলায় এনে গোটা বাড়ি প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় তারা। ওদিকে বাড়ির বাইরে তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আনারুলের অনুগামীরা। তাঁদের দাবি, আনারুলকে ফাঁসিয়েছে অনুব্রত মণ্ডল।