আইআইটি খড়্গপুরের ছাত্র ফাইজান আহমেদের মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য সিবিআই তদন্ত দাবি করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। এই দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। ফাইজানের পরিবারের দাবি মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করলেও তদন্তে তেমন অগ্রগতি হয়নি।
হিমন্ত বিশ্বশর্মা তার চিঠিতে লিখেছেন “সর্বশেষ ফরেনসিক রিপোর্টের চমকপ্রদ ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিতে, ভয়ঙ্কর অপরাধের অপরাধীদের পাশাপাশি অপরাধ গোপন করার সাথে জড়িত অন্য যেকোন ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা জরুরী”। হিমন্ত লিখেছেন, “অপরাধের স্বচ্ছ ও ন্যায্য তদন্তের জন্য দয়া করে মামলাটি সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করুন”। এর আগে তিনি 2022 সালের অক্টোবরে মমতা ব্যানার্জিকে চিঠিতে লিখে ওই ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের অনুরোধ করেছিলেন।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে পরিচালিত দ্বিতীয় ফরেনসিক রিপোর্ট অনুসারে, আহমেদের ঘাড়ের উপরের বাম দিকে একটি গুলির চিহ্ন এবং তার ঘাড়ের ডান দিকে একটি ছুরির ক্ষত ছিল। অসমের তিনসুকিয়ার বাসিন্দা আহমেদ, আইআইটি-খড়গপুরের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
আইআইটি খড়্গপুরের মেকানিক্যাল বিভাগের ছাত্র ফাইজনের দেহ কলেজ হস্টেল থেকে উদ্ধার করা হয়। ২০২২-এর ২৪ অক্টোবর দেহ উদ্ধারের পর মেদিনীপুর পুলিশ দাবি করেছিল ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছে।গুয়াহাটির বাসিন্দা ওই ছাত্রের বাবা, মা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে অভিযোগ করেন, তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে দ্বিতীয়বার ময়না তদন্ত হলে জানা যায় ফৈজানের গলার ডান দিকে বুলেটের আঘাত ছিল। এ ছাড়া তাঁর গলার বাঁ দিকে ছিল ছুরির আঘাত, যা পুলিশের করা ময়না তদন্তের রিপোর্টে ছিল না। বিচারপতিরা নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু ফাইজানের মৃত্যু রহস্যের সুরাহা হয়নি। পুলিশের পাশাপাশি আইআইটি কর্তৃপক্ষও দাবি করেছিল ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। আদালত পুলিশ ও আইআইটি কর্তৃপক্ষকে ভৎসর্না করে ময়না তদন্তের আগেই আত্মহত্যার কথা বলায়।