মাধ্যমিক চলাকালীন ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ। ইন্টারনেট বন্ধ রাখার পিছনে রাজ্যের ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য না হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে ফের খাতায়-কলমে পরীক্ষা। গত বছরের নভেম্বরেই নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে ১ হাজার ৪৩৫ প্রধানকেন্দ্র ও ২ হাজার ৭৫৯ উপকেন্দ্রে চলছে মাধ্যমিক। এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লক্ষ ২৬ হাজার ৮৬৩। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ইতিহাসে যা রেকর্ড।
করোনা আবহে গত বছর পরীক্ষা বাতিল হয়ে গিয়েছে। তার আগে পর্যন্ত প্রতি বছরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মাধ্য়মিকে টোকাটুকির অভিযোগ ওঠেছে। নকল রুখতে এবার প্রয়োজনে ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য। এমনকী, ১৪৪ ধারা প্রয়োগের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়, যে মাধ্যমিক শুরু হওয়ার পর যদি কোথাও টোকাটুকি বা গন্ডগোল হয়, সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি বিবেচনা করে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্র ও লাগোয়া এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দিতে পারেন জেলাশাসক ও পুলিস সুপার। কতক্ষণ? পরীক্ষা চলাকালীন অর্থাৎ ৩ ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: BJP: পদ্মের বৈঠকে সরব লকেট! বললেন, সন্ত্রাস-সন্ত্রাস করলে হবে না, দুর্বলতা মানতে হবে
রাজ্য প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা।আবেদনকারীর অভিযোগ ছিল, ইন্টারনেট এখন একটি জরুরি পরিষেবা। ট্যাক্সি বুক করা থেকে টাকা লেনদেন করতে ইন্টারনেট আবশ্যিক। এই পরিস্থিতিতে কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়া কী ভাবে একের পর এক জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখতে পারে রাজ্য সরকার? মাধ্যমিক পরীক্ষায় হচ্ছে খাতায় কলমে। পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে মোবাইল ফোন নিয়ে ঢোকার কথা নয় পরীক্ষার্থীদের। তাহলে ইন্টারনেট বন্ধ কেন? আবেদনকারীদের সওয়াল শুনে রাজ্যকে ইন্টারনেট বন্ধের কারণ জানিয়ে হলফনামা জমা দিতে বলেছিল আদালত।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের সওয়াল শুনে খুশি হয়নি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এর পরই রাজ্যের ইন্টারনেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। চার সপ্তাহ পর মামলাটির ফের শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: Death: এক বিদেশিনী-সহ ২ ভক্তের রহস্যমৃত্যু মায়াপুর ইসকনে, পুকুরপাড়ে মিলল যুগলের দেহ