হাতির দাঁত পাচারের সময় গ্রেপ্তার আধা সামরিক বাহিনীর দুই জওয়ান সহ মোট ৫ জন। আধা সামরিক বাহিনীর দুই জওয়ানের মধ্যে একজন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে কর্মরত। আর একজন কর্মরত ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটালিয়নে। ওই পাঁচজন পাচারকারীকে নকশালবাড়িতে হাতির দাঁত সহ হাতেনাতে ধরে ফেলেন এসএসবি জওয়ান এবং বন দপ্তরের কর্মীরা।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওই দুই জওয়ানের একজন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সে (বিএসএফ) কর্মরত। আর একজন কর্মরত ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটালিয়নে। ওই পাঁচজন পাচারকারীকে নকশালবাড়ি থানার হাতে তুলে দিয়েছে এসএসবি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাতে নকশালবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালায় এসএসবির ৪১ ব্যাটালিয়ন, টুকরিয়া ঝাড় বনাঞ্চল এবং শিলিগুড়ি ওয়াল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর একটি দল। সেখান থেকেই ওই পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম তপন থাপা, প্রভু মুন্ডা, শ্রিয়ান খেরিয়া, ধরম দাস লোহার, রিয়াস প্রধান। এদের মধ্যে প্রথম চারজন আলিপুরদুয়ারের কালচিনির বাসিন্দা। রিয়াস পূর্ব সিকিমের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নকশালবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালায় এসএসবির ৪১ ব্যাটালিয়ন, টুকরিয়া ঝাড় বনাঞ্চল এবং শিলিগুড়ি ওয়াল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর একটি দল। বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ যুবক মিলে নকশালবাড়িতে হাতির দাঁত ডেলিভারি দিতে এসেছিল। তারা নকশালবাড়ি বাসস্ট্যান্ডে বসে ক্রেতার অপেক্ষায় ছিল। সেই সময় অভিযান চালিয়ে আধিকারিকরা তাদের ধরে ফেলেন। তলাশি চালাতেই ঝোলা থেকে হাতির দাঁত বেরিয়ে আসে।
বনকর্মীরা জানিয়েছেন, সেটির ওজন ছিল ৯৪৫ গ্রাম। হাতির দাঁত সহ পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করে নকশালবাড়ি টুকরিয়া ঝাড় বনাঞ্চলে আনা হয়। সেখানেই পাঁচ ঘণ্টা ধরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন এসএসবি, বনদপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল বিভাগের কর্মীরা।জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংশ্লিষ্ট দপ্তরেও খবর দেওয়া হয়েছে। সেখানকার আধিকারিকেরা ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে।