টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার সকাল থেকে কার্যত রণক্ষেত্রর চেহারা নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকার মহিষমারিহাট পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা।
জয়নগরের মহিষমারি এলাকায় একটি জলাভূমি থেকে শুক্রবার রাতে উদ্ধার করা হয় এক ন’বছরের শিশুর দেহ। অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। রাতেই সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে পুলিশ। ১৯ বছরের যুবককে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে শনিবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে উত্তেজিত জনতা। অভিযোগ, রাতে পরিবার মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে শিশু নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানাতে গিয়েছিল। কিন্তু তাদের অভিযোগকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। জয়নগর থানায় যেতে বলেছিল পুলিশ, দাবি পরিবারের। তাদের বক্তব্য, রাতে অভিযোগ পাওয়া মাত্র পুলিশ তৎপর হলে শিশুটিকে হয়তো বাঁচানো যেত।
দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন উত্তেজিত স্থানীয়রা। ঝাঁটা হাতে পুলিশকে ধাওয়া করেন মহিলারা। একপ্রস্থ ঝাঁটাপেটাও করা হয়।
বারুইপুরের এসডিপিও-কে লাঠি হাতে ধাওয়া করেন মহিলারা। জয়নগরের মহিষমারি ফাঁড়িতেও চলে ব্যাপক ভাঙচুর। ফাঁড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেন স্থানীয়রা। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন এলাকাবাসী। রাস্তায় জায়গায় জায়গায় বাঁশ ফেলে অবরোধ শুরু করেন স্থানীয়রা।
দুপুরে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল গেলে হুলস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। তাঁকে দেখে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন বিক্ষুব্ধরা। এমনকী সাংসদকে উদ্দেশ্য করে জুতোও দেখানো হয়।