স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। ভিনরাজ্যে কর্মরত। তিন সন্তানের অন্ন সংস্থান করতে ৮০ বছর বয়সী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীর বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন যুবতী। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেন বৃদ্ধ। এর জেরে পরিচারিকা অন্তসত্ত্বা হয়ে পড়লে তাঁকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন তিনি।পুলিশে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই বেপাত্তা ওই অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী৷ঘটনাটি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিতোল গ্রামের।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে একাধিকবার সহবাস করেন বৃদ্ধ। এর জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু তার পর তাঁকে বিয়ে করতে বেঁকে বসেন বৃদ্ধ। উলটে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। বর্তমানে তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বৃদ্ধর। ওদিকে ঘটনার কথা জানিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মহিলা। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।বছর পঁয়ত্রিশের ওই নির্যাতিতা মহিলা বৃহস্পতিবার রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে অভিযুক্ত। এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
বর্তমানে ওই নির্যাতিতা পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সেই কারণে তিনি বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু সে এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। পলাতক ওই অভিযুক্তের খোঁজও শুরু করেছে পুলিশ৷তবে প্রশ্ন উঠছে পরিচারিকার স্বামী স্ত্রীর এই বিয়ে মেনে নিচ্ছেন কোন যুক্তিতে ? তার সঙ্গে তো বিচ্ছেদ হয়নি। তাছাড়া স্বামী থকা সত্ত্বেও তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি যৌন সম্পর্ক করলেন কেন ? অনেক মনে করছেন বৃদ্ধ যেহেতু অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী, তাই ছক কষে এটা করা হতে পারে। বৃদ্ধ হয়তো মিডিয়া ট্রায়ালের ভয়ে পালিয়েছেন।