প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল। আজ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হল। হিঙ্গলগঞ্জের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সুন্দরবনকে(Sundarban) নতুন জেলা হিসাবে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এদিন অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। আমি সুন্দরবন জেলা করছি। এই জন্য করছি, যে আপনাদের অনেক দূরে যেতে হয়। আমি অনেক স্বাস্থ্যকেন্দ্র করছি। যাতে মানুষ চিকিৎসার ব্যবস্থা পায়।”
মঙ্গলবার সকালেই ডুমুরজোলা হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারে বসিরহাট পুলিশ জেলার শামসেরনগর হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে পৌঁছন মমতা। এরপর প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রীড়া ময়দানে একটি সভায় যোগ দেন। তারপরে শাড়ি, ধুতি, মালা, মিষ্টি ফল দিয়ে পুজো দেন বনবিবি মন্দিরে। করেন বৃক্ষপুজো।
মঙ্গলবার বনবিবি মন্দির পাকা করারও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী(CM Mamata Banerjee) । এলাকাবাসীর উদ্দেশে বলেন, মন্দির তৈরি হয়ে গেলে তিনি আবার আসবেন। তা ছাড়া, এই বনবিবি মন্দিরের সংলগ্ন এলাকার সঙ্গে কী ভাবে জলপথে যোগাযোগ করা যায়, সেই বিষয়টিতেও নজর দেওয়ার কথা বলেন তিনি। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য এলাকায় হোম স্টে তৈরির করার পরামর্শ দেন। একের পর এক ঘূর্ণিঝড়ে বারবার বাঁধ ভাঙে সুন্দরবনে। এ প্রসঙ্গেও উদ্বেগের সুর শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, “আমরা ১৫ কোটি ম্যানগ্রোভ লাগিয়েছি। এলাকার নদী গুলো বাঁধব। আমি কেন্দ্রের কাছে সুন্দরবন মাস্টার প্ল্যান নিয়ে একটা প্ল্যান পাঠাচ্ছি।”
গোসাবা, কুলতলি, বাসন্তী-সহ সুন্দরবনের একটি বড় অংশই পড়ে বারুইপুর পুলিশ জেলায়। আবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমা জেলা সদর বারাসতের থেকে অনেকটাই দূরে। ফলে সদরে দরকার পড়লে বসিরহাটের মানুষকে অনেকটাই হ্যাপা পোহাতে হয়। আলাদা করে সুন্দরবন জেলা হওয়াতে একদিকে যেমন প্রশাসনিক কাজে সুবিধা হবে, তেমনই বাসিন্দাদেরও প্রশাসনিক এবং অন্যান্য সরকারি কাজের জন্য অনেক সময় বাঁচবে।