শালবনিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার পথে হঠাই শালবনি হাসপাতালে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী যে হঠাৎ হাসপাতালে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করবেন, তা ঘুণাক্ষরে বুঝতে পারেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শালবনি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী।
হাসপাতাল পরিদর্শন করে তিনি কথা বলেন স্বাস্থ্য আধিকারিক, চিকিৎসক, নার্স–স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে। শোনেন সমস্যার কথা। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে আবেগে ভাসেন রোগীরা। সকলে মোবাইলে ছবি তুলতে থাকেন। তারপর সদ্যোজাতদের ওয়ার্ডে গিয়ে তাঁদের ভালভাবে দেখেন তিনি। হাসপাতালের পরিষেবা যেভাবে চলছে, তাতে স্বস্তি প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর চিকিৎসক–নার্সদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
গরমে শিশুদের বিশেষ যত্ন ও পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাছাড়া হাসপাতালের বিভিন্ন পরিষেবা নিয়ে খোঁজ নেন। হাসপাতালে রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি গিয়েছিলেন হাসপাতালের নিউ বর্ন বেবি কেয়ার ইউনিট–সহ একাধিক ওয়ার্ডে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এভাবে হঠাৎই তো আসতে হয়। সবসময় তো আসতে পারি না। সকলের সঙ্গে কথা বললাম। ডাক্তারদের কাছে জানতে চাইলাম, কী সমস্যা আছে, আর কী প্রয়োজন।’
তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাবতীয় প্রোটোকল ও নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে মানুষের ভিড়ে মিশে যাওয়ায় তাঁর ইউএসপি। এদিনও তাঁর অন্যথা হয়নি। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে একের পর এক নবজাতকের নামকরণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া নামে আজ থেকে কেউ ‘এষা’, কেউ ‘অহনা’, কেউ আবার ‘সঞ্চিতা’।
এক নবজাতককে দেখে হঠাই মমতা বলে ওঠেন, ‘এই মেয়ে বড় হয়ে খুব সুন্দরী হবে।’ এক নবজাতকের মা মুখ্যমন্ত্রীকে জানান শখ করে তিনি তাঁর ছেলের নাম রেখেছে মহম্মদ পাঠান। হেসে মমতা বলেন, ‘শাহরুখের সিনেমা দেখে পাঠান নাম দিয়েছ?’ শনিবার জন্ম নিয়েছে এক নবজাতক, তাকে দেখে মুখ্যমন্ত্রী তার মাকে বলে, ‘ওর নাম দাও আজ। আজই হয়েছে, তাই এই নাম দাও।’ উল্লেখ্য, মালদার পর দ্বিতীয়বারের জন্য অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দেবেন মমতা। শুক্রবার ছড় শালবনিতে আক্রমণের মুখে পড়েন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে মমতা কোনও কড়া বার্তা দেন কি না সেটাই দেখার।