স্বাস্থ্যপ্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে SSKM থেকে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রেফার প্রসঙ্গে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। বললেন, ভরতির প্রসেসিং পরে, আগে চিকিৎসা করতে হবে।যে লোকটা মারা হচ্ছে তার জন্য কি ফর্ম ফিলাপ করা খুব জরুরি। প্রশ্ন তুলেছিল মুন্না। মনে করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এটি ছিল মুন্না ভাই এমবিবিএসের(Munna Bhai M.B.B.S.) ডায়লগ। এদিন সেই ভ্যালিড প্রশ্নও তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে দিল্লি থেকে ফেরার পথে সোজা এসএসকেএম হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখানে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন, “ডাক্তারিকে অনেকেই ভাবেন এটা শোকেস। অনেকে আবার প্রাইভেট চেম্বার করেন। কারণ, সরকারি হাসপাতালে নির্দিষ্ট বেতনের মধ্যে কাজ করতে হয়। কিন্তু পার্থক্য এটাই যে, সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার আর নার্সরা সারারাত জেগে পরিষেবা দেন, এটা তাঁদের ক্রেডিট।” এদিন ফের সিনিয়র চিকিৎসকদের রাতে থাকার জন্য আবেদন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে(Hospital) ভরতির ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা নিয়মকানুন। নিয়মের গণ্ডির জেরে অনেকক্ষেত্রেই চিকিৎসা শুরুর আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন রোগী। চিংড়িহাটার দুর্ঘটনা প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রসেস পরে হবে, আগে চিকিৎসা। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে এসব করা যায় না। এটা ইমারজেন্সি।” দূরদূরান্ত থেকে অনেক সময় অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের রেফার করা হয়। তারপর থাকে ভরতির প্রসেস। তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ((Mamata Banerjee))বলেন, “প্রেগনেন্ট মহিলা রেফার হয়ে 6 ঘণ্টার রাস্তা এলে তো মরেই যাবেন। তারপর থাকে প্রসেস।”