বিরিয়ানি (Biriyani) খেয়ে কমছে বহু পুরুষের পুরুষত্ব! সেই অভিযোগে বন্ধ করে দেওয়া হল কোচবিহার শহরের দু’টি বিরিয়ানির দোকান।এমন আজব দাবি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কোচবিহার পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের। তবে এমন আজব দাবি মানতে নারাজ অনেকেই। রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য ঘিরে এখন চলছে জোর বিতর্ক ।
কোচবিহার পুরসভার ভবানীগঞ্জ বাজার লাগোয়া পাওয়ার হাউস চৌপতিতে দু’টি বিরিয়ানি দোকানের বিরুদ্ধে নাকি নানা অভিযোগ জমা পড়েছে। আর সেই অভিযোগ কতটা সত্যি, তা খতিয়ে দেখতে ভবানীগঞ্জ বাজারে হানা দেন পুরকর্মীরা। তাঁদের নেতৃত্ব দেন পুরপ্রধান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (Rabindranath Ghosh)।
রবিবার, শনিমন্দির সংলগ্ন এলাকার এমনই দুটি বিরিয়ানির দোকানে গিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কয়েকজন মহিলার বাধার মুখেও পড়েন। তবে শেষে পর্যন্ত, ওই দুটি বিরিয়ানির দোকান বন্ধ করে দিয়েছে পুরসভা।রবীন্দ্রনাথ বলেন,’এই বিরিয়ানিগুলোতে যে মশলা দেওয়া হয় তা খেলে পুরুষদের পুরুষত্ব নষ্ট হয়ে যেতে পারে। ক্লাবের ছেলে থেকে শুরু করে এলাকার মানুষ বহু দিন ধরেই অভিযোগ জানাচ্ছিল। বাইরে থেকে লোক আসছে। তারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে আসছে জানি না। তারা চোর-ডাকাত না বদমায়েশ জানি না। মাঝে মধ্যেই সেই লোক পরিবর্তনও হয়ে যাচ্ছে। তাই এই সব দোকান আজ বন্ধ করে দিলাম।’তাছাড়া ওই দুটি দোকানেরই লাইসেন্স ছিল না। তাও জানান তিনি।
কোচবিহার শহরের পুজোর সময় ভিন রাজ্য থেকে ব্যবসায়ীরা এসে বিরিয়ানির দোকান খুলেছেন বলে অভিযোগ। অধিকাংশেরই কোনও ট্রেড লাইসেন্স নেই। এমনকি নেই ফুড লাইসেন্সও। খাবারের গুণগতমান নিয়ে তো প্রশ্ন রয়েইছে। এইসব বিরিয়ানি দোকান নিয়ে অভিযোগ গিয়েছে পুরসভার কাছে। এরপরই তৎপর হয় পুরসভা। জানা গিয়েছে, বিহারের বাসিন্দা পাপ্পু খান দোকানঘর ভাড়া নিয়ে পুজোর আগে বিরিয়ানি বিক্রি শুরু করেছিলেন।