আরও নম্র ও মানবিক হয়ে মানুষের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। চার পুরনিগমের বিপুল জয়ের পর প্রতিক্রিয়া তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মমতা বলেন, ‘‘এই জয় মানুষের জয়। শান্তিপূর্ণ ভাবে মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। তাতে এই ফল হয়েছে। আমরা খুশি।’’
চার পুরনিগমের ফলের পর আবারও কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি-কে একযোগে আক্রমণ শানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গে বিধানসভা ভোটে জয় পেয়েও দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের জন্য কিছুই করেনি বিজেপি। মানুষ পুরভোটে তারই জবাব দিয়েছেন আরও বেশি করে তৃণমূল প্রার্থীদের জিতিয়ে।’’ গৌতম দেবই শিলিগুড়ির মেয়র হচ্ছেন বলেও ঘোষণা করে দিয়েছেন মমতা।চন্দননগরে ১৭টি ওয়ার্ডে তৃণমূল ও একটি ওয়ার্ডে জয়ী বাম প্রার্থী।তৃণমূলনেত্রী জানিয়েছেন, বিধাননগর, আসানসোল এবং চন্দননগরে পরবর্তী মেয়র কে কে হবেন তা দল ঠিক করবে।
একটি টেলিভশন চ্যানেলকে ফোনে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মমতা প্রথমে বলেন, চার কর্পোরেশনে মেয়রকারা হবেন তা দল বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপরেই দিদি বলেন, আমি শিলিগুড়িটা বলে দিতে পারি। ওখানে গৌতম দেব মেয়র হবে। কারণ ও সব থেকে সিনিয়র। তবে বাকিগুলো দল ঠিক করবে।
শিলিগুড়ি পুরনিগমে ঝড় তুলেছে তৃণমূল। ১১টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থীরা। ৩টি ওয়ার্ডে ইতিমধ্যেই জয় পেয়ে গিয়েছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। ১ নম্বর ওয়ার্ডে আরএসপি প্রার্থী বিশ্বজিৎ রায় জয়ী। বিজেপি-র মেয়র পদপ্রার্থী তথা শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ নিজের ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছেন। শিলিগুড়ি পুরনিগমের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী সুজয় ঘটক।
আসানসোলে ৫৩টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থীরা, বিজেপি এগিয়ে একটি আসনে। বামেরা কোনও আসনে এগিয়ে নেই। বিধাননগরে ৩৬টি ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল, বামেরা এগিয়ে একটি ওয়ার্ডে। বিজেপি প্রার্থীরা কোনও ওয়ার্ডেই এগিয়ে নেই।