একুশের বিধানসভায় আশানুরুপ ফল করতে না পারলেও সত্তরটি আসন তাদের দখলে। এবার সেই সাফল্যের উপরে ভর করেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের একবার অ্য়াসিড টেস্ট নামছে গেরুয়া শিবির। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে বাংলার রাজনীতি এখন সরগরম। এরকম এক পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে ফের আসছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডা। আগামী ২১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মোদী সরকারের সাফল্যের খতিয়ান প্রচার করবেন বিজেপি কর্মকর্তারা।
বুধবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, ‘উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে ৩ জায়গায় সভা করবেন মোদি-শাহ-নাড্ডা। কবে কোথায় কোথায় সভা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’
কর্ণাটকে ভোটে হারার পরে, আগামী নির্বাচনগুলিতে জয়ের লক্ষ্যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাচ্ছে বিজেপি। এক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদিকে মুখ করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সাফল্য-প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে তারা। বাংলায় যখন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জনসংযোগ যাত্রায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রকল্প-বঞ্চনার অভিযোগ তুলছেন, ঠিক তখন গোটা দেশের মতো বাংলাতেও গরিব মানুষের মন জয়ে সেই প্রকল্পকেই হাতিয়ার করছে বিজেপি। তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগকে অস্ত্র করে ময়দানে নামছে তারা। কাল থেকে শুরু বিজেপির মহাজনসম্পর্ক অভিযান।চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। ২০ জুন থেকে ১০দিন বিজেপির গৃহসম্পর্ক অভিযান।
রাজ্য বিজেপি যাই বলুক না কেন, গ্রামেগঞ্জে দলের সংগঠন এখনও ততটা মজবুত নয়। সেই জায়গাটির উপরেই জোর দিয়েছেন শাহ। এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর।
গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে ব্যাপক প্রচার করেছিল বিজেপি। দলের এমন কোনও গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন না যিনি রাজ্যে প্রচারে আসেননি। গেরুয়া শিবিরের স্লোগানই ইসবার দো শো পার। কিন্তু ভোটের ফলাফলে বড় ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। সত্তরেই থামে বিজেপি। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে ফের একবার ঝাঁপানোর চেষ্টা করছে গেরুয়া শিবির।