ধর্মতলা কাণ্ডে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (Naushad Siddiqui) জেল হেফজাত নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এদিন বারুইপুর আদালতে পেশ করার সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনে বিস্ফোরক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনি অভিযোগ করেন, তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে বারুইপুর আদালতে (Baruipur Court) ঢোকার আগে মন্তব্য নওশাদের।
হাতিশালায় তৃণমুলের পার্টি অফিস ভাঙচুর, আগুন দেওয়া, তৃণমূল কর্মীদের মারধর, এলাকায় অশান্তি তৈরির চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে নওশাদ ও আসমা খাতুনের বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগেই শুক্রবার তাঁদের বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয়েছে। তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ ও বিভিন্ন ভিডিয়ো ক্লিপ খতিয়ে দেখে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিন বারুইপুর আদালতে পেশ করা হয় আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে। পুলিশ ভ্যান থেকে যাওয়ার পথে আইএসএফ নেতা সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে বলেন, ”পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনৈতিক চক্রান্ত হচ্ছে। শাসকদলের ভোট ব্যাঙ্ক ধ্বংস হচ্ছে এই ভয়ে এসব করছে। ভুল বুঝিয়ে রেখেছিল এখন ভোট বেরিয়ে যাচ্ছে ভেবে ভয় পাচ্ছে। তবে গরীব মানুষের এই লড়াই চলবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে হারের ভয়ে আটকে রাখার চেষ্টা। পঞ্চায়েতে হেরে যাওয়ার ভয়ে এই কাজ করছে।”
আইএসএফ (ISF) বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (Nawsad Siddiqui) কাছে থাকা দুটি মোবাইল ফোনে কী আছে এবার ঘেঁটে দেখতে চান তদন্তকারীরা। নওশাদের জামিন বিরোধিতা করে সরকারি পক্ষের আইনজীবী যুক্তি পেশ করেন, নওশাদ সিদ্দিকির ২ টি ফোনেরই ফরেনসিক পরীক্ষা করা দরকার। মোবাইলগুলো থেকে মিলতে পারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য । যা তদন্তের কাজে সাহায্য করবে।
২১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কলকাতায় বড় সভার আয়োজন করা হয় আইএসএফের তরফে। অভিযোগ, সেই কর্মসূচিতে আসতে আইএসএফ কর্মীদের বাধা দেয় তৃণমূল। ভাঙড়ে পতাকা লাগানোকে কেন্দ্র করে আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্য়ে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায় বলে জানা যায়। নওশাদের উপরেও হামলার অভিযোগ ওঠে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের দলবলের বিরুদ্ধে।