পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়ল না। এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই। জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বহাল থাকছে কমিশনের ৯ জুনের বিজ্ঞপ্তিই। তবে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন (West Bengal Panchayat Election 2023)।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিরোধীরা মামলা করেছিলেন হাই কোর্টে। মূল বক্তব্য ছিল ৩টি— মনোনয়নের সময়সীমা কম, সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে ভোট করানো যাবে না এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।
শুক্রবার এবং সোমবার এই মামলার শুনানি হয়েছে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। তার পর রায়দান স্থগিত রাখা হয়েছিল। তার পর আদালতের রায়ের অপেক্ষা করছিল, শাসক থেকে বিরোধী— সমস্ত পক্ষই। মঙ্গলবার বিকেল ৫টা নাগাদ আদালত এই মামলার রায় ঘোষণা করে। আদালত তার নির্দেশে জানায়—
১। নির্বাচন কমিশনের ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট করানো উচিত। কমিশনের উচিত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা। রাজ্য পুলিশের ঘাটতিও রয়েছে। তাই পর্যাপ্ত নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের উচিত রাজ্য যা বাহিনী চাইবে তা দেওয়ার।
২। মনোনয়নের সময়সীমা নিয়ে আদালত কোনও মতামত দেবে না।
৩। চুক্তিভিত্তিক কর্মী এবং এনসিসি ছেলেদের চতুর্থ পোলিং অফিসারের পরবর্তী কোনও পদে কাজে লাগাতে পারে রাজ্য।
৪। স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা উচিত কমিশনের।
৫। কেন্দ্রীয় বাহিনীর খরচ রাজ্য দেবে না। কেন্দ্রকেই দিতে হবে।
৬। ৭টি স্পর্শকাতর জেলায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে নির্দেশ।
৭। ভোটে সিভিক ভলান্টিয়ার ব্যবহার না করাই ভাল।
৮। যে সমস্ত বুথে সিসিক্যামেরা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন, তা বজায় রেখেছে আদালত। তবে একই সঙ্গে জানিয়েছে, এলাকার রাস্তায় লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও নজর রাখতে হবে।