অর্জুন চৌরাসিয়া (Arjun Chaurasia) কি তবে আত্মহত্যাই করেছিলেন? কাশীপুরে (Kashipur) মৃত যুবমোর্চা নেতার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর অন্তত এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে। কমান্ড হাসপাতাল (Command Hospital) সূত্রে জানা যাচ্ছে, তিন ঘণ্টার ময়নাতদন্ত শেষে প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে অর্জুন চৌরাসিয়ার দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। কোনও ধস্তাধস্তিও হয়নি অর্জুনের সঙ্গে।ময়নাতদন্তের রিপোর্টটি রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ উচ্চ আদালতের।
ফলে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, কাশীপুরের ঘটনায় খুনের কোনও প্রমাণ মেলেনি। আর এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান, অর্জুন চৌরাসিয়া কি তবে আত্মহত্যাই করেছিলেন?
অমিত শাহ রাজ্যে থাকাকালীনই কলকাতার কাশীপুরে বিজেপি যুবনেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যু ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অর্জুনকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই ওঠে খুনের অভিযোগ। মৃতদেহ উদ্ধারে গেলে পুলিশকে প্রবল বাধার মুখে পড়তে হয়।
খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও গিয়েছিলেন কাশীপুরে। তিনিও অর্জুন মৃত্যুতে রাজ্যের শাসকদলকেই কাঠগড়ায় তুলেছিলেন। এমনকী রহস্য উদঘাটনে সিবিআইকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত প্রয়োজন বলেও সেদিন জানিয়েছিলেন অমিত শাহ।
শেষমেশ কলকাতার কম্যান্ড হাসপাতালে মৃত বিজেপি যুবনেতার ময়নাতদন্ত হয়। সেই রিপোর্টই এবার জমা হাইকোর্টে। রিপোর্টে স্পষ্ট, গলায় ফাঁস লাগার জেরেই মৃত্যু হয়েছে অর্জুন চৌরাসিয়ার।এদিন ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত ছিলেন AIIMS কল্যাণীর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকও। গোটা ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফিও করা হয়। যা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিল BJP নেতৃত্বও।
হাইকোর্টে এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৯ মে। ওই দিন এই মামলা সংক্রান্ত সব রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে রাজ্য পুলিশকে।অর্জুন মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে তাঁর পরিবার ।