বালাসোরে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা তিনশোর কাছাকাছি। শুধুমাত্র বাংলারই ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনার পেছনে রয়েছে তৃণমূলের ষড়যন্ত্র। সোমবার এমনটাই দাবি করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এনিয়ে এবার শুভেন্দুকে নজিরবিহীন ভাবে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।
বুধবার বরাহনগর নবজোয়ার যাত্রার প্রস্তুতি সভা ছিল। সেখানেই সৌগত রায় বলেন, ‘শুভেন্দু বলছে, করমণ্ডল দুর্ঘটনার পিছনে তৃণমূল! ওঁর কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে? কোথায় বালেশ্বর, অন্য রাজ্যে গিয়ে তৃণমূল অন্তর্ঘাত করবে? বয়স কম হলে শুভেন্দুকে চটি দিয়ে মারতাম।’
দমদমের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় যখন এই নিদান দিচ্ছেন তখন সেই মঞ্চেই হাজির ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষরা।
দলের দমদমের সাংসদের মন্তব্য প্রসঙ্গে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। দলের সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের সাফাই, ‘সৌগতবাবু উত্তেজনার বশে বলে ফেলেছেন হয়তো। এই বহুদলীয় গণতন্ত্রে তৃণমূল এধরনের মন্তব্যকে সমর্থন করে না। হিংসার পথে চলে না তৃণমূল।’
এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি বলে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া দলের নেতা রাহুল সিনহা বলেছেন, ‘একজন অধ্য়াপকের মুখে ভাষা শুনলে লজ্জা লাগে। আসলে তৃণমূলের পচা পুকুরে নামলে এইসব কুকথা বলাই অভ্যাসে পরিণত হয়।’