Student suicide: HS student committed suicide after fail in HS Exam

Student suicide: উচ্চ মাধ্যমিকে ফেল করলেই ব্রেক আপ, প্রেমিকের শর্ত পূরণ করতে না পারায় আত্মঘাতী ছাত্রী

প্রেমিকের শর্ত ছিল উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করতে হবে।কিন্তু, প্রেমিকের শর্ত পূরণ করতে পারেনি উচ্চমাধ্যমিকের এক পরীক্ষার্থী। উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করে অবশেষে চরম সিদ্ধান্ত নিল ছাত্রী। হাতের শিরা কেটে আত্মঘাতী হল ওই পড়ুয়া। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির সেনপাড়া এলাকায়। আত্মঘাতী ছাত্রীর নাম আশা সাহা।

আশার বাবা পেশায় রিক্সা চালক। পরিবারের আর্থিক অবস্থা বিশেষ ভাল নয়। তাঁর তিন মেয়ের সংসারে আশাই ছিল বড় মেয়ে। অর্থকষ্টের মধ্যেই কোনওরকমে ছোট থেকে পড়াশোনা করে এসেছে ওই আশা। ছিল না কোনও গৃহশিক্ষক। এরইমধ্যে সম্প্রতি ফেসবুকে বেলাকোবার বাসিন্দা শুভঙ্কর বিশ্বাস নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় আশার। তৈরি হয় প্রণয়ের সম্পর্ক।

তাদের সম্পর্ক অনেকটা এগিয়েছিল। ছাত্রীর মা জোৎস্না সাহার অভিযোগ, ওই যুবক তাকে উচ্চমাধ্যমিকে পাশ করার জন্য চাপ দিয়েছিল। পাশ না করলে সম্পর্ক রাখবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। কিন্তু তার মেয়ে ফেল করার পর মানসিক চাপে ছিল।

পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার বিকালে হাতের শিরা কেটে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে আশা। পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। শুক্রবার দুপুরে ময়নাতদন্তর পর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেয় পুলিশ। এরপর বিকেলে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শুক্রবার রাতে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় ওই যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে মৃত ছাত্রীর পরিবার।

মৃতার পিসি মলি সেন বলেন, “বুধবার ফল ঘোষণার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল আশা। এর মাঝেই ভাইঝি দেখতে পায় ওই ছেলেটির স্ট্যাটাসে অন্য মেয়ের ছবি। ভাইঝি জিজ্ঞেস করে এই মেয়েটি কে। উত্তরে ছেলেটা বলে কেউ না। তখন আমার ভাইঝি ছবিটি সরিয়ে দিতে বললেও সে রাজি হয়নি। বলে তোর সঙ্গে আমি আর কোনও সম্পর্ক রাখব না। এরপরই এই কাণ্ড ঘটায় আশা।”

কোতোয়ালি থানার আইসি অর্ঘ্য সরকার জানিয়েছেন অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। উজি