দিল্লি হাই কোর্টের পর সুপ্রিম কোর্টেও মিলল না জামিন। এবারের পুজোটাও জেলেই কাটবে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal)। প্রভাবশালী তত্ত্বেই অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআই (CBI)।
ত বছরের আগস্ট মাসে বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে গরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। আসানসোল সিবিআই (CBI) আদালতে প্রথমদিকে এই মামলা চলে। অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোলের সংশোধনাগারেই বন্দি ছিলেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। তিহাড় জেলে (Tihar Jail)আপাতত বন্দি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁকে গ্রেপ্তার করে ইডিও।
দীর্ঘদিন ধরেই জামিনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনুব্রত। কখনও রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্ট, কখনও দিল্লি হাই কোর্ট। কিন্তু কোনও আদালতেই স্বস্তি মেলেনি। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন করেন তিনি। বুধবার সেই মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবী এস ভি রাজু অনুব্রতর জামিনের বিরোধিতা করেন। তাঁর যুক্তি ছিল, “অনুব্রত প্রভাবশালী, জেল থেকে বাইরে বেরোলে যা ইচ্ছে তাই করবে, ক্ষতি হবে তদন্তে। ও বিচারপতিদেরও হুমকি দিচ্ছে।” পালটা আদালত জানায়, তদন্ত অনন্তকাল চলতে পারে না। চার সপ্তাহ বাদে আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখবে।
আগেই অনুব্রতের আইনজীবী মুকুল রোহতগী সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করে বলেন, ‘‘পাঁচটি চার্জশিট ফাইল হয়েছে। শুধু আমার মক্কেলই একমাত্র জেলে রয়েছেন। ১৪ মাস তিনি জেলে কাটিয়ে দিয়েছেন। এমনকি, এই মামলায় প্রধান ‘কিংপিন’ জামিন পেয়ে গিয়েছেন। তাই অনুব্রতকেও জামিন দেওয়া হোক।’’ কিন্তু জামিন মেলেনি। শুনানি শেষে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বেলা এম ত্রিবেদী সিবিআইকে কাউন্টার হলফনামা দাখিল করার নির্দেশ দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি চার সপ্তাহ পরে।