একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। অবশেষে দলের সিদ্ধান্তে সরতেই হল সিপিএম (CPM) নেতা সুশান্ত ঘোষকে। মাঝপথে জেলা সম্পাদকের পদ থেকে তাঁকে কার্যত অপসারিত করা হয়েছে। তাঁর জায়গায় ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক করা হয়েছে বিজয় পালকে। শুক্রবার দলের জেলা কমিটির বৈঠকে ওই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন খোদ দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Selim)।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুশান্তের বিরুদ্ধে সম্প্রতি চাকরি দেওয়ার নাম করে সহবাসের অভিযোগ করেছেন এক মহিলা। ওই ঘটনার কথা সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে লিখিত ভাবে জানান নির্যাতিতা। তার পরেই কার্যত শোরগোল শুরু হয় জেলা সিপিএমের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতার বাড়ি মেদিনীপুরে। বর্তমানে তিনি চাকরি করেন। তাঁর অভিযোগ, ২০০৬ সালে তৎকালীন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুশান্তের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর তিনি তাঁকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি এক দিন সুশান্তের বাড়িতে ডাকেন। মন্ত্রী বাড়িতে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পাশাপাশি, তাঁর অভিযোগ, এর পর একাধিক বার চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর সঙ্গে সহবাস করেন সুশান্ত। কাউকে সেই কথা না জানানোর জন্য তাঁকে হুমকি দেন। তাঁর বিয়ের পরেও প্রাক্তন মন্ত্রী তাঁকে যোগাযোগ রাখতে বাধ্য করেন বলেও অভিযোগ। এ জন্য তাঁর সাংসারিক জীবনে অশান্তি হচ্ছে বলে দাবি করেন নির্যাতিতা।
শুক্রবার সুশান্তকে জেলা সম্পাদকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে সিপিএম নেতার প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি কিছু বলছি না। যা বলার পার্টি বলবে। ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক বলবেন।’’ পাশপাশি একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো নিয়ে প্রশ্নের জবাবেও সুশান্ত জানান, যা বলার পার্টি বলবে। অন্য দিকে, জেলা সিপিএমের ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক বিজয় পাল বলেন, ‘‘উনি (সুশান্ত) অব্যাহতি চেয়েছেন। রাজ্য কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন। কিছু অভিযোগ ছিল, যা খতিয়ে দেখছে রাজ্য কমিটি।’’