১০০ দিনের কাজ করেও যাঁরা টাকা পাননি, সেই জব কার্ড হোল্ডারদের নিয়ে দিল্লি যাচ্ছে তৃণমূল।দিল্লি যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে তৃণমূলের বাস। ঝাড়খণ্ডে পুরুলিয়ার কর্মীদের নিয়ে যাওয়া বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। তবে বড় কিছু হয়নি। হতাহতের কোনও খবর নেই। দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিকে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল।রবিবার সকাল ৫টা নাগাদ ঝাড়খণ্ডের কোডার্মা এলাকায় মাটির ঢিপিতে ধাক্কা মারে বাসটি। যাত্রীরা সকলেই অল্পবিস্তর জখম হয়েছেন।বাসের সামনের অংশেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
ওই বাস নিয়ে দিল্লি পর্যন্ত যাওয়ার ঝুঁকি আর নিতে চায়নি দল। তৃণমূল নেতৃত্ব বাসটিকে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে। যাত্রীদের সকলকে পুরুলিয়ায় নামিয়ে দেওয়া হবে। তাঁদের আর দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। তৃণমূলের বাকি বাসগুলি অবশ্য রাজধানীর উদ্দেশে এগোচ্ছে।কলকাতা থেকে ছেড়ে বাসগুলি বিহার, উত্তর প্রদেশ পেরিয়ে দিল্লি পৌঁছবে এমনটাই কথা রয়েছে। বাসের যাত্রীদের জন্য খাবার, ওষুধ, মেডিক্যাল কিটের যথেষ্ট ব্যবস্থা রয়েছে বলেই তৃণমূল সূত্রের খবর।
সড়কপথে কর্মীদের দিল্লি নিয়ে যেতে স্লিপার ক্লাস বাসের ব্যবস্থা করেছে তৃণমূল। প্রতিটি বাসের ভাড়া দু’লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। আগামী ৬ অক্টোবর আবার কলকাতায় ওই বাসগুলি করেই একশো দিনের জব কার্ড হোল্ডারদের ফিরিয়ে আনা হবে।
১০০ দিনের প্রকল্প, আবাস যোজনা-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা থেকে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বঞ্চিত করছে। সেই টাকা আদায়ের দাবিতে ২ ও ৩ অক্টোবর দিল্লিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২ অক্টোবর গান্ধীঘাটে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ৩ অক্টোবর জবকার্ড হোল্ডারদের নিয়ে যন্তরমন্তরে অবস্থান। তারপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে স্মারকলিপি।
বাসের চালক মদন সাউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘বাসটি দুপুরে ছাড়ার পর দুর্গাপুরে ১৩ জন নেমে পড়েন। তাঁরা দিল্লি যাবেন না বলে নেমে যান। তাঁদের নামিয়ে আমরা দিল্লির উদ্দেশে যাত্রা শুরু করি। ঝাড়খন্ডের খোডারমার কাছে কলকাতা থেকে প্রায় সাড়ে তিনশো কিলোমিটার দূরে বিপত্তি ঘটে। আজ, রবিবারের ভোর, তখন অঝোরে বৃষ্টি পড়ছিল। ঘন্টায় গাড়ির গতিবেগ ছিল ৬০-৬৫ কিলোমিটার। রাস্তায় কাটিং ছিল, বন্ধ আছে ডান দিকে যেতে হবে। এই পরিস্থিতিতে বৃষ্টিতে কিছু দেখতে পাচ্ছি না। যখন আমি দেখেছি জোরে ব্রেক কষেছি। রাস্তাতেই মাটির ঢিপি করা ছিল। সেটাকে ধাক্কা মেরে ফেলি। গাড়ির সামনের বাম্পার তুবড়ে, ভেঙে গিয়েছে। কয়েকজন যাত্রী হালকা জখম হয়েছেন। তাঁরা আমাকে বলেন, পুরুলিয়া হাসপাতালে নিয়ে চলুন। সেখানে চিকিৎসা করাতে হবে। তাই বাস নিয়ে ফিরে যাচ্ছি।’