TMC Leader Security withdrawn from Barrackpore commissionerate

TMC Leader Security : তৃণমূলের ৪১ জন নেতা-নেত্রীর নিরাপত্তা প্রত্যাহার

৪১ জন তৃণমূল নেতার (TMC Leader) নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিল পুলিশ। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে তৃণমূলের ৪১ জন নেতাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। যা এবার তুলে নিল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বেশ কয়েকটি পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর, ভাইস চেয়ারম্যান এবং চেয়ারম্যানের নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাননি ওই জনপ্রতিনিধিরা। যদিও বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারী জানান, ২০১৯ সালে বিজেপির সন্ত্রাসের ভয়ে অনেককে নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত পুলিশ মনে করছে এখন আর দরকার নেই।

সরকারি ওই নির্দেশ ভাল করে দেখলে বোঝা যাবে এই ৪১ জন নেতার অধিকাংশই ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের নেতা বা নেত্রী। আলিপুরদুয়ারের প্রাক্তন বিধায়ক ও জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর মতো হাতেগোণা কয়েকজন বাইরের নেতার নাম তালিকায় থাকলেও দেখা যাবে, তাঁদের বসতবাড়ির ঠিকানা উত্তর ২৪ পরগনা।

যে সব নেতানেত্রীর নাম ওই তালিকায় রয়েছে তাঁদের অন্যতম হলেন, নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায়, খড়দায় প্রয়াত তৃণমূল নেতা কাজল সিনহার স্ত্রী নন্দিতা সিনহা, হালিশহর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শুভঙ্কর ঘোষ, ব্যারাকপুর পুরসভার কাউন্সিলর তপন দে ওরফে টোটা, ভাটপাড়ার কাউন্সিলর জীতেন্দ্র সাউ, খড়দহ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন মজুমদার প্রমুখ। হিসাব মতো ভাটপাড়া, জগদ্দল, নৈহাটি, বীজপুর, হালিশহর, খড়দহ, বরানগরের মতো পুরসভার বহু কাউন্সিলরের পুলিশি নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছে।

এই নিরাপত্তা তুলে নেওয়া নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন করছেন, অর্জুন সিংয়ের ‘ঘরওয়াপসি’র পরই কি এমন সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন? যদিও এ তত্ত্ব মানতে নারাজ সুবোধ। তাঁর দাবি, এখানে দলের কোনও বিষয়ই নেই। পুরোটাই প্রশাসনিক বিষয়। দল একদিকে, প্রশাসন একদিকে। কারও নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে নয় বলেই নিরাপত্তা রক্ষী তুলে নেওয়া হল, মত তৃণমূল বিধায়কের।