বাংলার বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায়। এই আবহে বাংলার সরকার গতকালই নবান্নে কন্ট্রোল রুম খুলেছে। আজকে একটি বিবৃতি জারি করে সরকারের তরফে আরও সব পদক্ষেপের বিষয়ে জানানো হয়েছে।
শনিবার দুপুরে রাজ্য প্রশাসনের তরফে বুলেটিন প্রকাশ করে জানানো হল, দুপুর ১২টা পর্যন্ত বালেশ্বরে মোট ৭০টি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়েছে। রাজ্য থেকে দুর্ঘটনাস্থলে গিয়েছেন ৩৪ জন চিকিৎসক। আহত যাত্রীদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনতে পাঠানো হয়েছে ১০টি বাস। চিকিৎসার সামগ্রী নিয়ে গিয়েছে ২০টি মিনি ট্রাকও।
সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই ২০টি অ্যাম্বুল্যান্সে করে ১২০ জন যাত্রীকে রাজ্যে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এই যাত্রীদের মধ্যে আহত ১১ জনকে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে ৫ জনকে। ঘাটাল সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৬ জনকে। আহতদের মধ্যে দু’জনকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দু’টি দলকেও ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছে রাজ্য। ট্রেন দুর্ঘটনায় হতাহত যাত্রীদের উদ্ধারকাজে তদারকি করার জন্য রাজ্যের চার জন আইএএস আধিকারিক, চার জন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং এক জন এসিডিপিও বালেশ্বরে গিয়েছেন। নবান্নে সর্ব ক্ষণের যে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে পর্যায়ক্রমে তাঁর দেখভাল করছেন আইএএস আধিকারিকেরা।
নবান্নে সারা দিনের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রতি ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে ওড়িশার বালাসোরে গিয়ে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে নিহতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন মমতা। সঙ্গে মমতা দাবি করেন, এই দুর্ঘটনায় রেলের সমন্বয়ের অভাব রয়েছে।