ফের একবার বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে বিপত্তি। হাওড়া থেকে NJP যাওয়ার পথে বিগড়ে গেল AC। যার জেরে কিছুক্ষণ থমকে যায় ট্রেনটি। গরমে কার্যত গলদঘর্ম অবস্থা হয় যাত্রীদের। ক্ষোভ উগরে দেন যাত্রীরা। এরপর মেরামতির পর ফের চলতে শুরু করে বন্দে ভারত।
যাত্রা শুরুর পর থেকে বারবার সমস্যা দেখা দিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। শুক্রবার সকালে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছাড়ার আগেই দেখা যায়, পাঁচটি বগিতে এসি কাজ করছে না। সেই অবস্থাতেই নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন হাওড়া ছাড়ে। এদিকে এসি কাজ না করায় পাঁচটি বগির যাত্রী প্রবল সমস্যায় পড়েন। সেই অবস্থাতেই নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন হাওড়া ছাড়ে। এদিকে এসি কাজ না করায় পাঁচটি বগির যাত্রী প্রবল সমস্যায় পড়েন। ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। এত দাম দিয়ে টিকিট কাটার পর এহেন সমস্যায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন সকলেই।
জনৈক যাত্রী সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, বন্দে ভারতের একটি কামরার এসি খারাপ হয়ে গিয়েছে। ফলে অন্য কামরায় অতিরিক্ত ভিড়।তিনি সোশাল মিডিয়ায় ট্রেনের ভিতরের একটি ছবি পোস্ট করেন। যেখানে কামরার ভিতর অতিরিক্ত ভিড় নজরে আসে। সঙ্গে লেখেন, “২ জুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিচ্ছি। C10 কামরার AC খারাপ হয়ে গিয়েছে। আর তার জন্য আমাদের C11 কামরায় সকলে চলে এসেছে। ভিড় দেখেই তা বোঝা যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে এই কামরার AC-টিও সঠিকভাবে কাজ করছে না। কেন আগে থেকে সমস্ত ব্যবস্থা দেখে নেওয়া হচ্ছে না? বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বয়কট করা উচিত।”
এত দাম দিয়ে টিকিট কাটার পর এহেন সমস্যায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন সকলেই। এই বিষয়ে পূর্ব রেলেন মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, “আজ সকাল ৬টা বেজে ৫ মিনিট নাগাদ হাওড়া থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ছাড়ে। এরপর ৬টা বেজে ২৬ মিনিট নাগাদ কামারকুণ্ডু স্টেশনে ট্রেনটিকে দাঁড় করানো হয়। ট্রেনের C2 এবং C8 কামরার AC-তে সমস্যা দেখা গিয়েছিল। দ্রুত সেটি মেরামত করে ফের সাড়ে ৬টার মধ্যে ট্রেন পুনরায় চালু করা হয়।”
উল্লেখ্য, মাত্র কিছুদিন আগেই ওডিশায় ওডিশার জাজপুর-কেওনঝড় রোড দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। কালবৈশাখীর জেরে একটি গাছের ডালের সঙ্গে ধাক্কা লাগে ট্রেনের। বৈতরণী নদীর উপর রেল ব্রিজ পেরনোর সময় ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ট্রেন আটকে পড়ে। চূড়ান্ত ভোগান্তিক শিকার হন যাত্রীরা। সে সময়ও AC বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং খাবার নিয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠে যাত্রীদের তরফে।