ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট কোথায়(MRP and Expiry Date)? এক্সপায়ারি ডেট কোথায়? এমআরপি কোথায়? কোনও সামগ্রী কেনার পর হন্যে হয়ে সেই তথ্য খুঁজতে হয়। কখনও কখনও এতই খুদে-খুদে হরফে তথ্য দেওয়া থাকে, তা বোঝাও দুঃসহ হয়ে ওঠে। তা নিয়ে চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেইসঙ্গে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলিকে কড়া নির্দেশিকা পাঠাতে চলেছে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর।
এমনিতে অনেকেই অভিযোগ তোলেন, এমআরপিতে (MRP বা Maximum Retail Price) যে টাকা লেখা আছে, তার থেকে কখনও-কখনও বেশি টাকা নেওয়া হয়। বিশেষত তাড়াহুড়োর মধ্যে এমআরপির মতো তথ্য খুঁজে পাওয়া দুষ্কর হয়ে যায়। পরে যখন এমআরপি দেখতে পান, তখন অনেকটা দেরি হয়ে যায়। সেই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী বিপ্লব মন্ত্রী জানিয়েছেন, নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ আসছে। আমজনতা যাতে জিনিসপত্র কিনতে ঠকে না যান, সেজন্য একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুধু এমআরপি, ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট এবং এক্সপায়ারি ডেট নয়, কোন দ্রব্যে কী কী উপকরণ বা উপাদান আছে, তাও প্যাকেটে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। মন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০০ গ্রাম থেকে ৫০০ গ্রামের প্যাকেটের ক্ষেত্রে উপাদান লিখতে হবে চার মিলিমিটার জায়গায়। আবার ৫০০ গ্রামের বেশি প্যাকেটের ক্ষেত্রে উপকরণ বা উপাদান লিখতে হবে আট মিলিমিটার জায়গাজুড়ে।