কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হতে চলেছেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)! মোদীর শপথের আগের মুহূর্তে এমনই জল্পনা তুঙ্গে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে। বিজেপিতে ‘এক ব্যক্তি, এক পদ’ নীতি অনুযায়ী সুকান্ত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হলে বিজেপি রাজ্য সভাপতির পদে থাকতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে এই পদে বসবেন কে? এনিয়ে ইতিমধ্য়েই আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে কি দিলীপ ঘোষকেই (Dilip Ghosh) পুরনো পদে ফেরানো হবে?
রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। তাঁর সঙ্গে শপথগ্রহণ আরও কয়েকজন ভাবী মন্ত্রীর। তার আগে শনিবারই বঙ্গ বিজেপির (West Bengal BJP) দুই নেতা সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছে গিয়েছেন দিল্লিতে। দলের তরফে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতেই রবিবার রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা ছড়িয়েছে, বালুরঘাটের (Balurghat) দুবারের সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব পেতে পারেন। প্রতিমন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আরেক জয়ী সাংসদ বনগাঁর শান্তনু ঠাকুরও হতে পারেন মন্ত্রী। তবে তমলুকের অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাগ্যে এবার মন্ত্রিত্বের শিকে ছিঁড়ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ বারের লোকসভা ভোটে বর্ধমান–দুর্গাপুর আসনে হেরে গেলেও দিলীপের নেতৃত্বেই ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় সবচেয়ে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। এ বারের লোকসভা ভোটে বর্ধমান–দুর্গাপুর আসনে হেরে গেলেও দিলীপের নেতৃত্বেই ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে বাংলায় সবচেয়ে ভাল ফল করেছিল বিজেপি। ফলে তাঁর নামও বিজেপি হাইকমান্ড ‘বিবেচনা’ করতে পারে বলে জল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া, পুরুলিয়ার দু’বারের সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো এবং সদ্যপ্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে আলোচনা।
অন্যদিকে, লোকসভা ভোটে রাজ্য জুড়ে বিজেপির খারাপ ফলের মধ্যেও নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি আসনেই ‘পদ্ম’কে জয় এনে দিয়েছেন শুভেন্দু। তাই অমিত শাহ–জেপি নাড্ডারা তাঁকে বেছে নিতে পারেন বলে মনে করছেন দলের একাংশ।