জেলাগুলিতে পারদ পতন আগেই শুরু হয়েছিল। ক’দিন ধরে কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকাগুলিও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে নেমেছে। কিন্তু এই আবহেও অবশ্য বাধ সাধছে বঙ্গোপসাগর। কারণ, আগামী সপ্তাহের গোড়াতেই সেখানে ফের তৈরি হতে চলেছে একটি গভীর নিম্নচাপ। সেই গভীর নিম্নচাপ আরও শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে না, এমন কথাও নিশ্চিত ভাবে বলতে পারছেন না আবহবিদেরা। তাঁদের মতে, ওই গভীর নিম্নচাপ যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় এবং ওড়িশা-অন্ধ্র উপকূলে এসে হাজির হয় তা হলে শীতের দফারফা হতে পারে।
দক্ষিণ আন্দামান সাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণাবর্ত। এই ঘূর্ণাবর্ত থেকে সোমবার বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে নিম্নচাপ। দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন আন্দামান সাগর এলাকাতে এই নিম্নচাপ দানা বাঁধবে। ২৯ নভেম্বরের মধ্যে এই নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে। প্রাথমিকভাবে এর অভিমুখ পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিম দিক অর্থাৎ অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল।
আবহবিদদের কেউ কেউ বলছেন, গভীর নিম্নচাপটি যেহেতু কয়েক দিন সাগরের উপরেই থাকবে তাই তার শক্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি তাতে তার গতিপথ বা অভিমুখ স্পষ্ট হয়নি। সেই কারণেই ঘূর্ণিঝড় হবে কি না, কিংবা হলেও কোন দিকে ধেয়ে যাবে তা নিয়ে কিছু অস্পষ্টতা আছে। এমনও হতে পারে যে তামিলনাড়ু-অন্ধ্র উপকূলেই আছড়ে পড়ল সে। সে ক্ষেত্রে বঙ্গের শীতের উপরে তার প্রভাব কম পড়বে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার কলকাতার আকাশ মূলত পরিষ্কার থাকবে। মহানগরীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে থাকতে পারে। ২০ ডিগ্রির আশপাশে থাকতে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। মঙ্গলবার থেকেই থেকে দক্ষিণবঙ্গে হাওয়া বদল হবে । আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা। সামান্য বাড়বে রাতের তাপমাত্রাও। বাড়বে জলীয় বাষ্প এবং আপেক্ষিক আর্দ্রতা।