লোকসভা ভোটের প্রচারে তমলুকে গিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নামোচ্চারণ করলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তমলুকে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। বিজেপির হয়ে দাঁড়িয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ(Abhijit Ganguly) ।
বৃহস্পতিবার তমলুকে ভোট প্রচারে গেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। দলীয় প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের হয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই নন্দীগ্রামের ভোট প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ”আমার সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। রিগিং করা হয়েছে। সেদিন ডিএম বদলানো হয়েছিল, লোডশেডিং করেছিল জিতেছিল। আজ নয় কাল, এর বদলা নেবই আমি। চিরকাল বিজেপি থাকবে না। তাই বদলা নিয়েই ছাড়ব।” নির্বাচন কমিশনকেও আক্রমণ করেছেন মমতা। সাফ বলেছেন, বিজেপি তাঁদের সাহায্যেই ডিএম-এসপি, আইসি সব বদলে দিয়েছিল। পরে লোডশেডিং করে ফল পাল্টানো হয়েছিল।
নন্দীগ্রাম(Nandigram) নিয়ে কথা বলার সময়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কারও নাম নেননি। তবে হাবেভাবে বুঝিয়ে দেন তিনি কাকে নিশানা করছেন। কারণ তৃণমূল নেত্রী বলেন, ”চিরকাল ইডি-সিবিআই কোলে রাখবে না। এনআইএ, ইনকাম ট্যাক্সও পাশে থাকবে না। বদলা হবেই। কীভাবে বদলা নেব তা আগামী দিন পথ দেখাবে।”
৩৬ মিনিটের বক্তৃতায় অভিজিতের প্রসঙ্গ তো দূর, তাঁর নামটাও মুখে আনলেন না মমতা। এমনকি, শিক্ষকদের চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে বিজেপিকে অনর্গল আক্রমণেও উপেক্ষিত রয়ে গেলেন এককালে সেই রায় লেখা প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ। তমলুকের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে অনেকবারই নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) এবং শিশির অধিকারীকে ‘গদ্দার’ বলে সম্বোধন করেন মমতা। নিজেদের কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি এখন সেগুলি বাঁচাতে বিজেপির কাছে গেছে তাঁরা, এমনই দাবি করেন তিনি। মমতার সংযোজন, ”আমি না থাকলে দিঘা-তমলুক কিছুই হত না। এতদিন তো বাপ-ব্যাটা ছিল, কোন কাজটা করেছে ১০ বছর?” পরোক্ষে শুভেন্দুকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে মমতা বলেন, ”যতদিন আমাদের মন্ত্রী ছিল যা পেরেছে তা করে খেয়েছে। লুটে নিয়েছে।
বুধবার হলদিয়ার চৈতন্যপুরে একটি সভা ছিল তাঁর। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে তিনি বলেছেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুমি কত টাকায় বিক্রি হও?’’ সে কথা উল্লেখ করেই রাজ্যের শাসকদল তার কড়া নিন্দা করেছে। কিন্তু তা নিয়ে কেটি কোথাও খরচ করেননি মমতা।