রাজ্য বিজেপির সভাপতি হতে চলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। নভেম্বর-ডিসেম্বরেই ঘোষণা হবে। শুভেন্দু বিরোধী দলনেতার পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেবেন। বিরোধী দলনেতা হবেন মনোজ টিগ্গা।জেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কেন্দ্রীয় সম্পাদক পদে যাবেন। সংসদীয় দলের কোনও পদও তাঁকে দেওয়া হতে পারে। এখন বঙ্গ বিজেপিতে যে সব সাংগঠনিক রদবদলগুলো চলছে সেই প্রক্রিয়ার একদম শেষ পর্যায়ে এই ঘোষণা হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর।
শুভেন্দুকে রাজ্য সভাপতি পদে নিয়ে আসার বিষয়টি নিয়ে দলের নয়া পর্যবেক্ষকরা ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ বসে ঠিকঠাক করে ফেলেছেন বলে জানা গিয়েছে। এবার দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সবুজ সংকেত নেওয়া হবে। বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে সুকান্তর বদলে শুভেন্দুর আসা কার্যত নিশ্চিত।
তবে রাজনৌতিক পারফর্মার হিসাবে সুকান্তর থেকে অনেকে হাইভোল্টেজ শুভেন্দু। একথা প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু বিজেপিতে তারপরও একটা জিনিস দেখা হয় তাহল সংঘ ঘনিষ্টতা।শুধু ভালো বলিয়ে কোয়িয়ে হলেই হয় না।শুভেন্দু ইতিমধ্যেই তার ভাষণে সংখ্যালঘুদের পার্টি খানিক বিদ্বেষও ছুড়েছেন। কুকথা বলেছেন গেরুয়া ফর্মুলায়। সে তুলনায় শুকনাত অনেকে ভদ্র। শিক্ষিত। আরএসএস ও বিজেপির প্রতি তার ভালোবাসা নিয়ে প্রশ্ন নেই, কিন্তু আজকাল রাজনৈতিক ময়দানে যে চোখা চোখা বুলি ছাড়তে হয়, সেখানে তিনি ততটা দক্ষ নন। কে জানে হয় শিক্ষা প্রতিবন্ধক হয়ে উঠছে !
আজকাল হার্ড হিটিংয়ের যুগ। কেবল সং প্রেম বুকে জড়িয়ে থাকলে আর হচ্ছে না। তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন গেরুয়া নেতারা। সে কারণেই অসমে সনোয়ালের মত নেতাকে সরিয়ে কংগ্রেস ত্যাগী হিমন্ত মুখ্যমন্ত্রী হলেন।কুরসী বসেই তিনি প্রমান দিয়েছেন তিনি গেরুয়াধারী যোগীর থেকেও বেশি দাবাং। ফলে স্নোয়ালকে কেন্দ্রে সরিয়ে আনতে কার্যত বাধ্য হল বিজেপি। সুকান্তর ক্ষেত্রেও তেমন পুনর্বাসন হবে বলে মনে হচ্ছে। তাতো হল কিন্তু দিলীপকে কীভাবে সামলা দেবেন শুভেন্দু সেটি বোরো প্রশ্ন। যদিও দিলীপকে আগেও নিয়ন্ত্রিত করেছে দল। সেই হিসাবে শুভেন্দুর এখন হিজ মাস্টারদের খুশি করার সময়।