বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যে ক্রমাগত কমেছে বিজেপির ভোট শতাংশ। শাসকের ‘সন্ত্রাস’-এর অভিযোগে ঝাঁপ বন্ধ হয়েছে বহু পার্টি অফিসের। কিন্তু উল্টো ছবি আরএসএসের। সঙ্ঘের দাবি, এই সময়ের মধ্যে বাংলায় তাদের শাখার সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশ বেড়েছে। তৃণমূল বিষয়টিকে আমল দিতে চায়নি। সিপিএম অবশ্য মনে করে, রাজ্যে তৃণমূলের জমানা থাকার ফলেই আরএসএস এতটা বেড়ে ওঠার রসদ পেয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এই বছরও চলতি মাসের ১৫-১৮ তারিখে নাগপুরে বসবে সংঘের বার্ষিক বৈঠক। তার আগেই বাংলায় সংগঠনের শক্তিবৃদ্ধিতে খুশি সংঘ চালকরা। সংঘ নেতা অজয় নন্দীর দাবি, রাজ্যে সংগঠনের শাখা বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সামাজিক কর্মসূচিও। বিভিন্ন জেলায় সংগঠন বাড়লেও মূলত এই বিস্তার ঘটেছে হুগলির উত্তরাংশ, দুই মেদিনীপুর, ও হাওড়া গ্রামীণ এলাকায়।
আরও পড়ুন: মাল নদীতে বিসর্জনের রাতে হড়পা বানে মৃত্যুর ঘটনায় আর্থিক সাহায্য ঘোষণা মমতার
বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বেজে যাবে। তার আগে সংঘের এই ব্যাপক বিস্তারে কিছুটা স্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। কারণ গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ভোট বৃদ্ধির পিছনে এই সংগঠনের যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা ছিল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “বাড়া-কমা পুরোটাই ওদের বিষয়। শুধুই খাতায় কলমে বাড়লে তো হবে না। সক্রিয়তা রয়েছে কি না, দেখতে হবে। সিপিএমের ভোট বিজেপিতে যাচ্ছে। যদি সঙ্ঘ বেড়ে থাকে, সিপিএম ভেবে দেখুক কাদের থেকে শক্তি পেয়ে সংঘ বাড়ছে।” যদিও সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের মন্তব্য, ‘‘কুড়ি বছর আগে আরএসএস তৃণমূল নেত্রীকে ‘মা দুর্গা’ আখ্যা দিয়েছিল। আর তিনি আরএসএসকে ‘দেশপ্রেমিক’ বলেছিলেন। রাজ্যে ‘হার্মাদ’ সিপিএমকে বধ করতে ‘দুর্গা’র হাতে রসদও দিয়েছিল আরএসএস। এখন এত দিন পরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আরএসএস ততটা খারাপ বলে তিনি বিশ্বাস করেন না! এর থেকেই পারস্পরিক নির্ভরতা ও ফায়দার (‘ক্যুইড প্রো কো’) ব্যাপারটা বোঝা যায়।”
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ৭ ঘণ্টা ধরে অস্ত্রোপচার অভিষেকের চোখে, উৎকন্ঠায় কাটালেন মুখ্যমন্ত্রী