রবিবার গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ে সতীঘাট এলাকায় একটি সুড়ঙ্গ (Tunnel) নজরে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। আর তা ঘিরেই রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়াল। ওই সুড়ঙ্গে কি লুকিয়ে গুপ্তধন? এই প্রশ্ন তুলে ঘটনাস্থলে ভিড় করেছেন কৌতূহলী জনতা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। পৌঁছন ২ নং ব্লকের বিডিও। প্রশাসনিক তৎপরতায় সুরক্ষার জন্য সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পরে সেখানে খননকাজ হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
বাঁকুড়া শহরের সতীঘাট থেকে দু’কিলোমিটার দূরে গন্ধেশ্বরী নদী বাঁক নিয়েছে রাজারবাগান এলাকায়। বাঁকের মুখে ক্রমশ ভাঙছে গন্ধেশ্বরী নদীর দক্ষিণ পাড়। গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ের ওই এলাকা এখন পাণ্ডববর্জিত। সম্প্রতি ওই এলাকায় কয়েক জন স্থানীয় যুবক বেড়াতে গিয়ে নদীর পাড়ে একটি সুড়ঙ্গের মুখ আবিষ্কার করেন। সেই দলে থাকা স্থানীয় যুবক বিবেক মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘গন্ধেশ্বরী নদীর পাড়ের এই এলাকায় কেউ বড় একটা যাতায়াত করেন না। দিন ছ’য়েক আগে আমরা ও দিকে বেড়াতে গিয়ে দেখি নদীর পাড়ের একাংশের মাটি ধসে গিয়ে একটি সুড়ঙ্গের মুখ বেরিয়ে পড়েছে। এর পর আমরা স্থানীয়রা মিলে খোঁড়াখুঁড়ি করি। কিন্তু প্রায় ২০ ফুট পর্যন্ত খুঁড়ে ফেলেও সুড়ঙ্গের শেষ খুঁজে পাইনি। আমাদের ধারণা, এই সুড়ঙ্গে খননকার্য চালালে অজানা তথ্য পাওয়া যাবে।’’
২ ফুট চওড়া ও ৪ ফুট দৈর্ঘ্যের সুড়ঙ্গটি পাথর আর ঘাসে ঢাকা। গভীরতা অন্তত ২০ ফুট। স্থানীয়রা বলছেন, বেশ প্রাচীন সুড়ঙ্গটি। মনে করা হচ্ছে, প্রাচীনকালে সম্ভবত আত্মগোপনের জন্য এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করত দুষ্কৃতীরা। তারপর তা চাপা পড়ে যায়।
স্থানীয়দের অনুমান, গন্ধেশ্বরী নদীর পাড় ভেঙে সুড়ঙ্গটি প্রকাশ্যে এসেছে। আর সেখানে এলাকার কিছু নেশাখোর যুবক ডেরা বেঁধেছে। তবে কি ওই সুড়ঙ্গে গুপ্তধনের হদিশ পাওয়া যাবে? এই প্রশ্ন উদয় হয়েছে সকলের মনে। যদিও সুড়ঙ্গটিকে তেমন গুরুত্ব দিতে নারাজ প্রশাসনিক কর্তারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিডিও এবং পুলিশ আধিকারিকরা সুড়ঙ্গের মুখে ইট, সুড়কি দিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। সেইমতো কাজ শুরু হয়েছে। সুরক্ষার স্বার্থে এই পদক্ষেপ নেওয়া হল বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। তবে যতই সুড়ঙ্গের মুখ বন্ধ হোক, তার ভিতরে কী রয়েছে, সেই কৌতূহল কমছে না কিছুতেই।
আরও পড়ুন: Ladakh road accident: লাদাখে বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল খড়গপুরের বাপ্পার, ফিরছে কফিনবন্দি দেহ