বাংলা থেকে বিজেপি পার্টিটাকেই তুলে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার মুর্শিদাবাদের নির্বাচনী সভা থেকে অভিষেক দাবি করেছেন, বিজেপির আরও ১০ জন বিধায়ক তৃণমূলে আসার জন্য পা বাড়িয়ে বসে আছেন! অভিষেকের কথায়, “বিজেপির এখনও ১০ জন এমএলএ লাইনে আছে। ঠিক টাইমে দরজা খুলব। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, বিজেপি দলটাকে বাংলা থেকে উঠিয়ে দেব।”
জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী খলিলুর রহমান। তাঁর সমর্থনে রঘুনাথপুরে প্রচারে সারেন অভিষেক। অভিষেক বলেন, “বিজেপি একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দল। একজন বিচারপতি যিনি ৪ বছর ধরে আমার পিছনে পড়েছিলেন, আজ তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। দুর্ভাগ্য এটাই যে, বিচারপতিরাও এখন দুর্নীতিগ্রস্ত একটি দলে যোগদান করছেন। বিজেপি আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করেছে। আমার পিছনে ইডি-সিবিআই লেলিয়ে দিয়েছে। আমাকে দিল্লি ডেকে নিয়ে গিয়েছে। এমনকি তারা আমার পরিবারকে পর্যন্ত ছাড়েনি। আমার হেলিকপ্টারে তল্লাশি চালিয়েছে। আয়কর দফতর আমার কপ্টার আটক করারও পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়েছিল যাতে আমি কোনও নির্বাচনী সভায় যেতে না পারি।”
অভিষেক তাঁকে খুনের প্রসঙ্গেও এই প্রথমবার মুখ খোলেন। অভিষেক বলেন, ২ দিন আগে ওরা আমাকে খুনের পর্যন্ত চেষ্টা করে। তবে সঠিক সময়ে কলকাতা পুলিসের হস্তক্ষেপে অভিযুক্ত ধরা পড়েছে। ওদের ছক বানচাল হয়ে গিয়েছে। তবে আমি আমার জীবন নিয়ে ভাবি না। আমি মানুষের জন্য কাজ করে যাবে। মানুষ যদি আমার পাশে থাকে, তবে কোনও অশুভ শক্তি আমার কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।” একইসঙ্গে এদিন নির্বাচনী সভা থেকে অভিষেক অধীরকেও নিশানা করেন। বলেন, “মানুষ প্রকৃত গদ্দারকে চিনে ফেলেছে, যাঁরা এখানে বিজেপি শক্তিশালী করছে।”
অভিষেক আরও উল্লেখ করেন, বিজেপি দল ভাঙিয়ে দুজন সাংসদকে নিয়েছিল। অভিষেক কাঁথি ও তমলুকের সাংসদের কথা উল্লেখ করেন। পাল্টা, বিজেপি থেকে বাবুল সুপ্রিয় এবং অর্জুন সিংকে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদিনও অভিষেক ইঙ্গিত দেন, আরও দশ জন নেতা অপেক্ষায় আছেন। লোকসভা নির্বাচনের মাঝে তাঁর রেই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।