ডায়মন্ড হারবার লোকসভায় রেকর্ড অভিষেকের। বলেছিলেন, ৫ লাখের মার্জিনে জিতবেন। জিতলেন ৭ লাখ ৭ হাজার ৪২৫ ভোটে! দেশে রেকর্ড! জয়ের ব্যবধানে ‘দেশে সর্বোচ্চ’ মার্জিনে জয়ী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দাবি করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
গত লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবার থেকে প্রায় ৩ লাখ ২১ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সন্দেশখালির সভা থেকে অভিষেক জানিয়েছিলেন, এবারে তাঁর জয়ের ব্যবধান ৪ লাখ ছাড়িয়ে যাবে।সেদিক থেকে দেখতে গেলে এবারে নিজের জয়ের রেকর্ডই ভেঙে দিলেন অভিষেক। বাংলা তো বটেই সারা দেশের নিরিখে জয়ের ব্যবধানের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন অভিষেক। অভিষেকের প্রাপ্ত ভোট ১০ লক্ষ ৪৮ হাজার ২৩০। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের অভিজিৎ দাস ওরফে ববি পেয়েছেন ৩ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩০০ ভোট। অভিষেকের জয়ের ব্য়বধান ৭ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩০।
সেদিক থেকে গতবারের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ব্য়বধানে জয়ী হয়েছেন অভিষেক। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ওই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, “মানুষের ভোটে দেশে সবচেয়ে বেশি ব্য়বধানে জয়ী হয়েছে অভিষেক।” এই নিয়ে টানা তিনবার ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ নির্বাচিত হলেন তিনি। ভোটে জেতার পর থেকেই নিজের সাংসদ এলাকার মানুষদের সুবিধার্থে একাধিক প্রকল্প নিয়েছেন অভিষেক। যা রাজ্য রাজনীতিতে ডায়মন্ড হারবার মডেল হিসেবে পরিচিত। সেই সূত্রেই বিপুল ব্যবধানে জয় কি না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
লোকসভা নির্বাচনের ভোট গণনা শুরু থেকেই বাংলায় তৃণমূলের জয়জয়কারের শুরু। বিভিন্ন ভোটফেরত সমীক্ষাকে ফুৎকারে উড়িয়ে রাজ্যে ৪২ আসনের মধ্যে ২৯টি আসনে জয় পেয়েছে মমতা-অভিষেকের দল। এক একটি কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের মার্জিনও চোখ ধাঁধানো। দলের ‘সেনাপতি’ সে দিক থেকে নেতৃত্বের ভূমিকা নিয়েছেন। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে সেখানে এবার রেকর্ড গড়েছেন।
ভোটের সার্বিক ফল দেখে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অভিষেককে নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। সেখানে ‘সেনাপতি’র ভূয়সী প্রশংসা করেন নেত্রী। তিনি বলেন, ‘‘এই জয় মানুষের জয়। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র জয়। আমি আমার সমস্ত ‘ইন্ডিয়া’র সঙ্গীকে সমর্থন জানাচ্ছি। যাঁরা আছেন, যাঁরা আমাদের সঙ্গে জুড়তে চান, তাঁদের প্রত্যেককে আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’’ মমতার সংযোজন, ‘‘অভিষেক সাত লক্ষের বেশি ভোটে জিতেছে। গোটা দেশে রেকর্ড করেছে। ওকে দেখে দিল্লির শেখা উচিত, শুধু রিগিং করে ভোট হয় না। ওকে আপনারা সবাই অভিনন্দন জানান।’’ এর পরই মমতা জানিয়ে দেন বুধবার দিল্লিতে যে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের বৈঠক হবে, সেই ‘ইন্ডিয়া’র আলোচনায় তিনি নন, তৃণমূলের পক্ষে থাকবেন অভিষেক।
তাঁর এবং দলের জয়ের পর এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) অভিষেক লেখেন, ‘‘যাঁরা বাংলার শক্তি এবং সহনশীলতা নিয়ে সন্দেহ করার সাহস করেছিলেন, যাঁরা হাইকোর্ট, মিডিয়া, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির মাধ্যমে আমাদের দমন করতে চেয়েছিলেন এবং সাধারণ মানুষের শক্তির অবমূল্যায়ন করেছিলেন, আজকের রাত তাঁদের জন্য একটা দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া হিসাবে কাজ করবে।’’ শেষে তিনি লেখেন, ‘জয় বাংলা।’
To those who dared to doubt the strength and resilience of Bengal, who sought to suppress us through a section of judiciary in HC, media, central investigative agencies and underestimated the power of the common man, Tonight shall serve as the resounding response.
জয় বাংলা 💪🏼 pic.twitter.com/dq3pa2YBas
— Abhishek Banerjee (@abhishekaitc) June 4, 2024