আর জি কর কাণ্ডে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ‘এনকাউন্টার’ দাওয়াই। তাঁর দাবি, সাতদিনের মধ্যে খুনি এবং ধর্ষকদের এনকাউন্টার করে মারা উচিত। ধর্ষণকাণ্ডে বিচারবিভাগে দীর্ঘসূত্রিতার বিরোধিতা করেছেন অভিষেক। তাঁর সাফ কথা, “এসমস্ত ঘটনা যারা ঘটায় তাদের সমাজে থাকার অধিকার নেই।”
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার সেই প্রসঙ্গে পুলিশকে কৃতিত্ব দিয়েও তাদের আরও কঠোর হওয়ার বার্তা দিলেন তৃণমূলের সেনাপতি তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে প্রশাসনিক সভা ছিল অভিষেকের। তার পর তিনি বলেন, ‘‘পুলিশ অভিযুক্তকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করেছে। তবে আমি বলব, সুরক্ষার প্রশ্নে আরও কঠোর হতে হবে।’’
সাংসদের প্রশ্ন, “কোনও ঘটনা না ঘটলে আমাদের ঘুম ভাঙে না। এধরনের ঘটনায় ৭ দিনের মধ্যে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেই আইন আনা হয় না কেন? চাইলেই আনা যায়। যারা ক্ষমতায় আছে তারা এই বিল আনুক। আইনসভায় অর্ডিন্যান্স আনুন। আইন সংশোধনী আনুন। যাতে সাতদিনে ধর্ষকদের বিচার করা যায়। তৃণমূল, কংগ্রেসের উচিত এই বিলকে সমর্থন করা। কেন ৫-৬ বছর ট্রায়াল চলবে?”
আরজি কর কাণ্ড নিয়ে কথা বলতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের হাথরাস এবং বিলকিস বানোর প্রসঙ্গও টেনে আনেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, একাধিক রাজ্যেই এমন ঘটনা ঘটে। হাথরাসের কথা সকলের মনে আছে। সেখানে তো মৃতদেহের খোঁজ মেলেনি। এই ঘটনা এখন যদি উত্তরপ্রদেশে হত তাহলে দেহ মিলত না। বিলকিস বানোর ঘটনাতেও সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। তৃণমূল সাংসদ বলছেন, ”উন্নাও, হাথরাস, নির্ভয়া সমষ্টিগত ব্যর্থতা। রাজনীতি না করে আমাদের সকলের একজোট হয়ে এর বিরোধিতা করা উচিত।”