একাধিক ক্রনিক সমস্যা থাকলেও গুরুতর কোনও অসুস্থতা নেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। শারীরিক পরীক্ষার পর এমনটাই জানালেন এইমসের চিকিৎসক আশুতোষ বিশ্বাস। তাই আজই ছেড়ে দেওয়া হবে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তবে আপাতত ওষুধ চলবে তাঁর। ইতিমধ্যেই হাসপাতাল তরফে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে বলেই খবর।
সোমবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে কলকাতা বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থকে। কলকাতা বিমানবন্দরে থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে সকাল ১০টা নাগাদ ভুবনেশ্বর বিমানবন্দরে পৌঁছন পার্থ।
আরও পড়ুন: ৩৬টি ঘর ভাড়া-এলাহি খানাপিনা! জানুন বঙ্গ বিজেপির Resort Politics – এর খরচ
তারপর দুপুর পর্যন্ত তাঁর একাধিক শারীরিক পরীক্ষা হয় উৎকল মুলুকে। সব শেষে ভুবনেশ্বর এইমসের (AIIMS) চিকিৎসক জানিয়ে দিলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ভর্তি রাখা হবে না। তাঁর শারীরিক অবস্থা এমন কোনও সিরিয়াস নয়। বিকেল চারটের কিছুটা আগে সাংবাদিক সম্মেলন করে ভুবনেশ্বর এইমস জানিয়ে দেয়, এদিনই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ছেড়ে দেওয়া হবে। ভর্তির প্রয়োজন নেই।
স্থলপথে অ্যাম্বুল্যান্সে কলকাতা থেকে ওড়িশায় পৌঁছতে দশ ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। সময় বাঁচাতে আকাশপথকেই বেছে নেওয়া হয়। প্রায় দেড় থেকে দু’ঘণ্টা সময়েই পৌঁছে যাওয়া যায় ভুবনেশ্বর। এই ধরনের অ্যাম্বুল্যান্সে অসুস্থ ব্যক্তির জন্য বিশেষ সুবিধা থাকে। যাত্রার সময়ে যাতে কোনও অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়, তাই আপৎকালীন চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে প্রতিটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে। এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে এক ঘণ্টার মধ্যে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে আনুমানিক এক লক্ষ ৬০ হাজার টাকা থেকে দু’লক্ষ টাকা খরচ হয়। কিন্তু খরচের পরিমাণ নির্ভর করে দূরত্ব, অ্যাম্বুল্যান্সের ধরন, যাত্রার সময় কোনও আপৎকালীন পরিষেবা দেওয়া হয়েছে কি না, তার উপর।