বিতর্ক যেন কিছুতেই বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) পিছু ছাড়ছে না। এবার কালীপুজো নিয়ে লেকচার সিরিজের আয়োজন করে প্রবল সমালোচনার মুখে ঐতিহ্যবাহী এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন তুলেছেন ঠাকুর পরিবারের সদস্য সুপ্রিয় ঠাকুর।
বলা হয়, ২৫ জুলাই সোমবার অনলাইনে আলোচনাচক্রে থাকবেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বামী সারদাত্মানন্দ মহারাজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সেমিনার হলে এই সভা হওয়ার খবর চাউর হতেই শুরু হয় বিতর্ক। বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের দাবি ছিল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাবা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর নির্জন প্রকৃতির মাঝে নিরাকার ব্রহ্মের উপাসনার জন্য শান্তিনিকেতন প্রতিষ্ঠা করেন। কোনও দেবদেবীর আরাধনা বা মূর্তিপুজো এখানে হয় না। সেখানে কালীপুজোর রীতি নিয়ে আলোচনাচক্রের আয়োজনকে ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে।
আরও পড়ুন: West Bengal: ফের মোবাইল কেনার জন্য পড়ুয়াদের টাকা দেবে রাজ্য! এভাবে নিতে হবে সুবিধা
আশ্রমিক এবং পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ ছিল, সাম্প্রতিক কালী-বিতর্কে ইন্ধন জোগাবে এই আলোচনাচক্র। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠনের তরফে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে এই সংক্রান্ত আলোচনাচক্র বন্ধ রাখার আবেদন জানানো হয়। আবেদনের পরেও এই আলোচনা চক্র বন্ধ না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁরা ওই আলোচনা চলাকালীন বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
সোমবার সকাল থেকেও টানটান উত্তেজনা ছিল শান্তিনিকেতনে। এর পরেই পিছু হঠার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল বিশ্বভারতীর তরফ থেকে। জানা গিয়েছে, বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে এই আলোচনাচক্র বসবে না। আসছেন না স্বামী সারদাত্মানন্দ মহারাজও।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা, জেনে নিন কেমন থাকবে কলকাতা-জেলাগুলি