Anis Khan Death: Officer Of DSP Rank Will Probe The Incident Allegation Of Police Negligence

Anis Khan Death: ছাত্রনেতা আনিসের মৃত্যুতে ফুঁসছে আমতা, বাড়িতে ফরেন্সিক দল

আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় আলোড়ন পড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। ইতিমধ্যে আনিসের মৃত্যুতে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন তাঁর বাবা সালেম খান। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেই তাই হাওড়া গ্রামীণের এসপি সৌম্য রায়কে তলব করা হয়েছিল ভবানী ভবনে। বিষয়টি নিয়ে রিপোর্টও নিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। ভবানী ভবন সূত্রের খবর, আনিস খানের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তকারী অফিসার হবে ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসার। যেহেতু পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে, তাই এই বিষয়ে তদন্ত করবেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার অফিসার।

ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর তদন্তে পুলিসের গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগের পর ভবানী ভবনে তলব করা হয় হাওড়া গ্রামীনের এসপি সৌম রায়কে। পাশাপাশি গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করেন ডিজি। রবিবার ভবানী ভবনে সৌম রায়ের সঙ্গে বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য পুলিসের ডিজি-সহ পুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা। আনিস মৃত্যুর ঘটনা সম্পূর্ণ জানতে চাওয়া হয়। গোটা ঘটনার গুরুত্ব বিচার করে শেষপর্যন্ত নিরপেক্ষ তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয় ওই বৈঠকে।

আনিসের পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে, শুক্রবার রাতে সিভিক ভলেন্টিয়ার ও পুলিশের বেশে আনিসের বাড়িতে আসে ৪ জন। এরপরই তাদের মধ্যে ৩ জন উপরের তলায় আনিসের ঘরে চলে যায়। এরপর আনিসের মাথায় আঘাত করে তাকে ছাদ থেকে নীচে ফেলে দেওয়া হয়। যদিও, পুলিশের তরফে শুরু থেকেই দাবি করা হয়েছে, শুক্রবার রাতে আনিসের বাড়িতে থানা থেকে কেউ যাননি। সেক্ষেত্রে কারা সিভিক ভলেন্টিয়ার ও পুলিশের বেশে আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল, সেই বিষয়টিই ভাবাচ্ছে পুলিশকে।

আনিসের পরিবারের পুলিসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। প্রথমত, পুলিসকে রাতে ফোন করার পর পুলিস এসিছল পরদিন। দ্বিতীয়ত, বাড়ির উপর থেকে নীচে পড়ে যাওয়ার পর মৃতদেহ বহুক্ষণ সেইভাবেই পড়েছিল। কারণ পুলিস আসেনি। তৃতীয়ত, ঘটনাস্থল ঘিরে রাখেনি পুলিস। ফলে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে। আনিসের মোবাইল ফোনইবা কোথায় গেল। চতুর্থত, অত্যন্ত দ্রুত ময়নাতদন্ত করে ফেলা হয়েছে।