আমতার সারদা গ্রামে আনিস খানের সমাধিস্থলে নজরদারিতে বসল দুটি সিসিটিভি। লাগানো হয়েছে আলো। মৃত ছাত্রনেতার বাবার দাবি মেনে পদক্ষেপ করেছে পুলিশ। সিসিটিভি-তে সর্বক্ষণ চোখ রেখেছেন এক পুলিশকর্মী।
বৃহস্পতিবার আমতা থানার সামনে পাঁচটি দাবির কথা জানিয়েছিলেন নিহত ছাত্রনেতা আনিসের বাবা। তদন্ত, গ্রেফতারির পাশাপাশি বলেছিলেন ছেলের দেহ যেখানে শায়িত আছে, সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। আলোও দিতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই দাবি মেনে ব্যবস্থা নিল পুলিশ। শুক্রবার সকালে আমতার সারদা গ্রামের সমাধিক্ষেত্রের লাগোয়া দালানে দেখা গেল একটি টেবিল পেতে কম্পিউটার বসানো হয়েছে। তাতে চোখ রেখে বসে আছেন এক পুলিশকর্মী। মনিটরে দেখা যাচ্ছে আনিসের সমাধির সরাসরি সম্প্রচার।
দু’টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে সমাধিক্ষেত্রে (যদিও মনিটরে একটির রেকর্ডিংই দেখা যাচ্ছিল)। একটির ক্যামেরার মুখ আনিসের সমাধির দিকে। অন্যটি সম্ভবত সমাধিক্ষেত্রের প্রবেশ পথে লাগানো থাকতে পারে। তবে বৃষ্টির জন্য সেটি আপাতত বন্ধ, জানালেন রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত। তিনিই এ-ও জানালেন যে, সমাধিতে সালেমের দাবি মেনে অতিরিক্ত আলোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে ইতিমধ্যেই।
গত শুক্রবার রাতে আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিল আমতা থানার হোমগার্ড এবং সিভিক ভলেন্টিয়ার। তারপর বচসা এবং মৃত্যু আনিস খানের। এই ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য–রাজনীতি। নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়ে সিট গঠন করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। আনিসের বাবা এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান এবং বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন। এখন অবশ্য আমতা থানার ওসি–কে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করতে হবে। গোটা ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট দু’সপ্তাহের মধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিতে হবে।