Anubrata Mandal in 14 days jail custody, what will Trinamool leader get in jail?

Anubrata Mandal: ১৪ দিনের জেল হেফাজতে অনুব্রত, জেলে কী কী পাবেন তৃণমূল নেতা?

আপাতত জেল হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। বুধবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত অনুব্রতর ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। আগামী ৭ সেপ্টেম্বর তাঁকে ফের আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, আসানসোল জেলেই রাখা হবে বীরভূমের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে। আদালতে নির্দেশ, প্রয়োজনে সংশোধনাগারে গিয়েও অনুব্রতকে জেরা করতে পারবে সিবিআই।

বোলপুরের নিচুপট্টির দাপুটে তৃণমূল নেতার ঠিকানা আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার। আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ায় জেলের হাসপাতাল ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে তাঁকে। জানা গিয়েছে করোনা পজেটিভ ধরা পড়েছে তাঁর। এরপর তাঁকে একটি আলাদা সেলে রাখা হয়। ওই সেলে কার্যত ২ শয্যার মিনি হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। দু’জন থাকার বন্দোবস্ত রয়েছে। তবে থাকবেন একা অনুব্রতই। ঘর লাগোয়া শৌচালয়। সেখানেই স্নানের বন্দোবস্তও রয়েছে। একটি সরকারি হাসপাতালের মতো লোহার খাট রয়েছে। তাতে নীল-সাদা ডোরাকাটা চাদর পাতা। তিনটি কম্বল দেওয়া হয়েছে অনুব্রতকে। এছাড়াও ওই ঘরে রয়েছে একটি চেয়ার ও টেবিল।

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: টেট ফেল করেও প্রাথমিকে চাকরি- বাড়িতে বসেই বেতন! কেষ্ট-কন্যাকে তলব হাই কোর্টের

এদিন আদালতে অনুব্রতর জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। শারীরিক কারণ দেখিয়ে তাঁর আইনজীবীর যুক্তি, স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো রোগে ভুগছেন তাঁর মক্কেল। যা খুবই বিপজ্জনক।  শারীরিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে অনুব্রতকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক বলে আবেদন করেন অনুব্রতর আইনজীবী। প্রয়োজনে যাতে অনুব্রতকে দ্রুত অক্সিজেন দেওয়া যায় সেজন্য আদালত কক্ষেই অনুব্রতর জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল বলে আদালতের একটি সূত্র মারফত জানা যায়।

একাধিক শারীরিক সমস্যা রয়েছে অনুব্রতর। দিনে প্রায় ৩২-৩৩টি ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। গতবারই আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতকে অনুব্রত জানিয়েছিলেন, তিনি এসএসকেএম হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ খাচ্ছেন। সেই মতো সমস্ত ওষুধপত্র কারা কর্তৃপক্ষের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। নানা বিধিনিষেধ মেনে খাওয়াদাওয়া করতে হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। সেই অনুযায়ী ডায়েট চার্টও কারা কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতে বলেন, অনুব্রত একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাঁর জামিন মঞ্জুর হলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে আদালত বীরভূমের তৃণমূল সভাপতির ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন: Duare Sarkar: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বড় চমক নবান্নের! এবার দুয়ারে সরকারি আধিকারিকরা