আর বীরভূমের (Birbhum) জেলা সভাপতি নন অনুব্রত মণ্ডল। এবার থেকে ‘সরকারিভাবে’ বীরভূম জেলার সংগঠন দেখবে ৯ সদস্যের কোর কমিটি। তাহলে কি গরুপাচার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অনুব্রতকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করল ঘাসফুল শিবির? জেলাজুড়ে এখন সেই প্রশ্ন।
লোকসভা ভোটের আগে জেলা স্তরে সাংগঠনিক রদবদল করল তৃণমূল। সোমবার সেই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। জেলার নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতার নাম। তালিকায় আবার অনেক নতুন নামকে জায়গাও দেওয়া হয়েছে। যেমন, বীরভূমের জেলা সভাপতির তালিকায় নাম নেই অনুব্রত মণ্ডলের। অন্য দিকে, কৃষ্ণনগরে সাংগঠনিক জেলায় সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। একই সঙ্গে, দলের সম্পাদক পদে চার জনের নামও সোমবার প্রকাশ করেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের নতুন তালিকায় বীরভূমে জেলায় কোনও সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়নি। ওই জেলায় দলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে রামপুরহাটের বিধায়ক তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূল সূত্রে খবর, এখন বীরভূম জেলার কোর কমিটি এবং জেলা কমিটির সমন্বয় ভাবে সভাপতির কাজ সামলাবে। আগে সাত জনের কোর কমিটি গড়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তাতে আরও দু’জন যুক্ত হন। আশিস ছাড়াও কোর কমিটিতে রয়েছেন বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, বোলপুর লোকসভার সাংসদ অসিত মাল, বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় এবং তৃণমূল নেতা কাজল শেখ, সুদীপ্ত ঘোষ এবং বিশ্ববি়জয় মান্ডি।
ঘোষণার পরই দলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছেন, “এই সুযোগ দেওয়ার জন্য দলকে ধন্যবাদ।” তবে জেলা সভাপতি পদে অনুব্রত মণ্ডলের নাম না থাকা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। কোর কমিটির কোনও সদস্যের তরফেও কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তার আগে অনুব্রতর জেল থেকে বেরনোর আশা খুবই ক্ষীণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সেই ‘ভবিষ্যদ্বাণী’ সঠিক হলে বীরভূমে এবার লোকসভা ভোটে অনুব্রতকে ছাড়াই লড়বে ঘাসফুল শিবির।